সম্পাদকীয়
বেকারত্বের বিরুদ্ধে জীবন-জীবিকার লড়াই ও ‘বেরোজগারি’

বর্তমান ভারতে কেন্দ্রের নীতি নির্ধারকদের ভ্রান্ত নীতি প্রণয়ন ক্রমশ দেশের যুব সমাজকে অসহায়তার দিকে নিয়ে চলেছে।
সমগ্র ভারত সহ আমাদের রাজ্যেও কর্মসংস্থানের অভাব বারবার ছাত্র-যুবদের স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তিনটি কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদের ফলে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল। এবার ছাত্র-যুবরাও সেই পথে পা বাড়াচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ফলে হাজার হাজার যুবক-যুবতী রাস্তায় নেমেছেন। সম্প্রতি এরকমই এক অবস্থান থেকে পুলিশ বলপূর্বক ভাবে চাকরীপ্রার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।
মহামারীর আগে থেকেই কর্মসংস্থানের অভাব ছিল গোটা দেশে। কিন্তু মহামারীর সময় অবিচ্ছিন্ন লক-ডাউন যুবসমাজকে আরো বেশি করে অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়। কেন্দ্র অথবা রাজ্য কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
আমাদের ‘বেরোজগারি’ পোর্টাল দেশ জুড়ে চাকরীর দাবিতে আন্দোলন, কর্ম ক্ষেত্রে ছাঁটাই এবং বেকারত্বের মতো বিষয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করতে চলেছে। এছাড়াও বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নৈরাশ্য এবং এগুলোর বিরুদ্ধে যুবসমাজের মধ্যে সঞ্চারিত ক্ষোভ ইত্যাদি বিষয়ে নিবন্ধ, কলাম ইত্যাদিও প্রকাশিত হবে। জীবন-জীবিকার লড়াই, শ্রমিক-কর্মচারীর লড়াই, চাকরির দাবিতে আন্দোলন ইত্যাদি নানা বিষয়ে প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করব আমরা।
খবর
টুইটারে কর্মী ছাঁটাই আজ থেকে, প্রভাব পড়বে ভারতে

এইবার টুইটারে বিশ্ব জুড়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ফলে ভারতে অনেকে কাজ হারাবেন। আজ শুক্রবার থেকে টুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ বলবৎ হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে সম্প্রতি টুইটার কিনে নেওয়ার পর টুইটারে একাধিক পরিবর্তন আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এতদিন বিষয়টি জল্পনায় থাকলেও এবার সত্যিই তা ঘটতে চলেছে। খরচ কমাতেই কর্মী ছাঁটাই বলে মনে করা হচ্ছে ।
সূত্রের খবর, টুইটার সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই সমস্ত কর্মীদের কাছে একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “টুইটার সংস্থাকে স্বাস্থ্যকর পথে নিয়ে আসতে আমাদের বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যেই সমস্ত কর্মীদের এই বিষয়ে ইমেইল পাঠানো হবে।”
সূত্র- টিভি ৯ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হিমাচল প্রদেশে আসন্ন নির্বাচনী ইস্তেহারে বেকার যুবক-যুবতীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সিপিএমের

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হিমাচল প্রদেশে কর্মসংস্থানের অভাব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মূল হাতিয়ার করবে বিরোধীরা । ওই রাজ্যে কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ বিজেপি সরকার তৈরি করতে পারেনি। এবার সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার সিমলায় তারা ইস্তেহার প্রকাশ করে। সেই ইস্তেহার অনুযায়ী রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের মাসিক ৩০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) হিমাচলের আসন্ন নির্বাচনে ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এছাড়াও রাজ্যের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ, হিমাচলকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সিপিএম-এর হিমাচলপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক ওঙ্কার শাদ বলেন, হিমাচলের ওপিএস পুনরুদ্ধার, ইপিএফ, ইএসআই, বেসরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ও পেনশনের সুবিধা, শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৬০০০ টাকা, সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নিয়োগ তাঁরা ক্ষমতায় এলে সুনিশ্চিত করবেন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আসন্ন নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের ভোটারদের মূল ইস্যু বেকারি

হিমাচল প্রদেশে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে বিরোধীদের মূল ইস্যু বেকারত্ব। হিমাচল প্রদেশে বেকারের সংখ্যা ২.০৪ লাখ, তার মধ্যে ১.৭৬ লাখ মানুষের বয়স সীমা ২০-২৯ বছর। সুতরাং বেকার মানুষের সিংহভাগই তরুণ প্রজন্ম। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় হিমাচল প্রদেশে তরুণ প্রজন্ম আর বর্তমান রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন না।
হিমাচল প্রদেশের ভোটারদের জন্য জনগণ কী সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করছে সে বিষয়ে সম্প্রতি তিনজন শিক্ষাবিদ একটি অনলাইন সমীক্ষা চালালে, ১০০২ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ বেকারত্ব বলেছিলেন। যদিও ৩৫ শতাংশ জানান মুদ্রাস্ফীতি ছিল সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারন, যখন ১০ শতাংশ বর্তমান সরকারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি-সহ বিরোধী দলগুলি রাজ্যে বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারকে কোণঠাসা করার প্রয়াসে বেকারত্বের সমস্যা একাধিকবার উত্থাপন করেছে।
সূত্র- দ্য ওয়্যার
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
টেট দুর্নীতি: প্রতি ছাত্রের থেকে ৫০০০ টাকা করে মোট ২১ কোটি টাকা সংগ্রহ, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি মানিক ঘনিষ্ঠের

সমগ্র দেশের মতো বাংলাতেও কর্মসংস্থানের অভাবে যুবদের অবস্থা ভয়ানকভাবে খারাপ। বিশেষ করে মহামারীর সময় শুধু কর্মসংস্থানের অভাব নয়, কর্মক্ষেত্র থেকেও ছাঁটাই হয়েছেন বহু মানুষ, কারও কারও বেতন পর্যন্ত কমানো হয়েছে ।
এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উঠে এসেছে টেট এবং এসএসসি দুর্নীতির খবর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি।
এবার মানিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডল জেরার মুখে স্বীকার করেন মানিক ভট্টাচার্য লোক পাঠিয়ে অফলাইনে নিবন্ধনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। মহিষবাথানে তাপসের একটি অফিসে ওই লেনদেন হয়েছিল। তবে সেই টাকা মানিকের কোথায় গেল তা তিনি জানেন না। বুধবার, তাপস এই অফলাইন নিবন্ধন সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে ইডি-র অফিসে যায়।
সূত্র- জি নিউজ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘আন্দোলন করলেই চাকরি নয়,’ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী

এবার টেট দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি মঙ্গলবার জানান আন্দোলন গণতন্ত্রের মূল রক্ষাকর্তা। আন্দোলন আগেও হয়েছে, পরেও হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীও আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন।
আন্দোলনের ন্যায্যতা অন্যায্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন। তিনি আরও বলেন এই জটিলতা দ্রুত কাটবে।
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রাজ্যের যুবসমাজ। চাকরিপ্রার্থীদের কোনো আশার আলো না দেখিয়ে সরকারের পিঠ বাঁচানোর এই নীতি আগামী নির্বাচনগুলিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র – জি ২৪ ঘণ্টা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন