ভারতে অতিমারীর পর এই ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে বেকারত্বের হার তীব্রভাবে বেড়েছে। যা কিনা দেশে অতিমারীর পর সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছেছে। গণনা অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর থেকে বেকারত্বের হার গড়ে ৯ শতাংশ অতিক্রম করেছে৷ মহামারীর পর এটিই দেশে বেকারত্বের সর্বোচ্চ হার।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইপিএফও-র প্রকাশিত মজুরির তথ্যও প্রকাশ্যে আসে। সেই তথ্য নতুন চাকরি সৃষ্টিতে মন্থরতার ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে সার্বিক অর্থনৈতিক মন্থরতারও ইঙ্গিত দেয়। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী যে মাসে কোভিড লকডাউন শুরু হয়েছিল, সেই ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সর্বভারতীয় বেকারত্বের হার ২৩.৫২ শতাংশে পৌঁছে যায়। যদিও এর পরে হার কমলেও ২০২১ সালের মে মাসে বেকারত্বের হার ১১.৮৪ শতাংশ উচ্চতায় গিয়েছিল৷ ১ জুলাই ২০২১ সাল থেকে তা কখনও ৯.১ শতাংশের ওপরে ছিল না৷ চলতি বছরের ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার রেকর্ড সৃষ্টি করল।
সূত্র – ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জম্মু-কাশ্মীরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ

জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট স্কিমের কয়েক হাজার মহিলা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সেখানকার মানবসম্পদ নীতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে বিক্ষোভ করেন। প্রতিবাদী কর্মীরা জানিয়েছেন, মানবসম্পদ নীতি অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬০ বছর করা হয়েছে, এর পাশাপাশি আরও কিছু ধারা রয়েছে যা কর্মীদের স্বার্থে নয়।
একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, “আমাদের বলা হচ্ছে যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অবসরের বয়স ষাট বছর, এই পদক্ষেপটি অযৌক্তিক এবং অযাচিত”। বিক্ষোভকারী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা দাবি করেন যেখানে নতুন দিল্লি এবং লাদাখে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর তখন জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবসরের বয়স ৬০ বছর। এছাড়াও বছরের পর বছর চাকরি করার পর এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে কর্মী বদলি করার অভিযোগ করেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধরা জানান, দাবি মানা না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন।
সূত্র- কাশ্মীর অবজার্ভার
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার উদ্বেগজনক

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র প্রকাশিত বেকারত্বের পরিসংখ্যান আতঙ্কের সৃষ্টি করল যুবসমাজে। রবিবার শেষ হওয়া গত সপ্তাহে দেশের শহরাঞ্চলে কর্মহীন মানুষের হার পৌঁছল ১১ শতাংশের দোরগোড়ায়। তার আগের সপ্তাহের ৯.৫০ শতাংশ থেকে কমলেও, স্বস্তি দিল না গোটা দেশের ৮.৮৫ শতাংশ বেকারত্ব। যদিও গ্রামাঞ্চলে এই বেকারত্বের হার শহরের তুলনায় কম।
এর জন্য আর্থিক বিশেষজ্ঞরা সুদের খরচ বাড়ায় পুঁজির ঘাটতিতে পড়া বহু সংস্থার সম্প্রসারণ থমকানো, প্রকল্প পিছনো, আর্থিক কর্মকাণ্ডের মাত্রা কমানো এবং মেটা, টুইটার, অ্যামাজনের মতো পরিষেবা সংস্থার কর্মী ছাঁটাইকে দায়ী করেছেন। দেশে শিল্পোৎপাদন আরও কমার ফলে কাজ কমেছে শহরে।
সূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তিন দিন অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন চাকরিপ্রার্থী

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীরা বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ অনশন করায় মঙ্গলবার এক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও আশেপাশে দেখা গেল না কোনও অ্যাম্বুলেন্স।
অনশনকারীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রার্থী। তাঁরা বালিগঞ্জে ডিপিএসসি অফিসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁরা ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংসদের পরীক্ষার্থী। তাঁদের ২০১২ ও ২০১৪ তে ইন্টারভিউ হয়। চলতি বছরের ১০ নভেম্বর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দু’সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ২৪ নভেম্বর সেই কোর্ট অর্ডারের অবমাননা করা হয়েছে। চল্লিশ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো নিয়োগ হয়নি।
সূত্র- টিভি ৯ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রাজ্যসভায় বেকারত্ব নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ

বিরোধী দলগুলি মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে। দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, রাজ্য সরকারগুলির জিএসটি বকেয়া পরিশোধ না করা এবং কৃষকদের দুর্দশা-সহ অন্যান্য ইস্যুতে বিরোধীরা ইউনিয়ন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি আজ আর নতুন কোনো বিষয় নয়। একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক সংস্থা তারা জলের দরে বিক্রি করছে কর্পোরেটের কাছে। বেসরকারিকরণের ফলে দেশের চাকরির বাজার হয়ে পড়ছে সঙ্কুচিত। এছাড়াও স্থায়ী কর্মীর চেয়ে ঠিকা কর্মীর পদে নিয়োগ বেশি হচ্ছে। এরফলে কর্মহীন তরুণ-তরুণীরা হতাশ হচ্ছেন। বেকারত্ব-সহ অন্যান্য ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে।
সূত্র- দ্য প্রিন্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন