স্থায়ী কাজের দাবিতে হরিয়ানায় সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভ

শয়ে শয়ে গ্রামীণ সাফাই কর্মী সোমবার হরিয়ানার পাঁচকুলায় একটি অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। সাফাই কর্মীদের দাবি, তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং নিয়োগে নতুন নীতি প্রণয়ন করতে হবে। রুরাল সাফাই কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিনোদ কুমার জানান, গত ১৬ বছর ধরে তাঁরা সাফাইয়ের কাজ করছেন। গ্রামীণ এলাকার জন্য আরও কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি তাঁদের পরিষেবা নিয়মিত করার দাবি জানিয়েছেন সাফাই কর্মীরা।
বিনোদ কুমার আরও বলেন যে সরকার একদিকে নিজেকে গরিবদের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং যোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করছে কিন্তু অন্যদিকে শহরের সাফাইকর্মীদের তাঁদের তুলনায় ৪৩৯০ টাকা বেশি বেতন দিচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে কারণ তাদের বেতন ২০১৩ সালে শহরাঞ্চলে কর্মরত সাফাই কর্মীদের সমান ছিল। সাফাইকর্মীদের সংগঠনের আহ্বায়ক রাজেশ বলেন, “তাঁদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে ১৬ বছর চাকরি করা সাফাইকর্মীদের স্থায়ীকরণ, সকলের জন্য ২৪০০০ টাকা অভিন্ন বেতন, তাঁদের বেতন মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে সংযুক্ত করা, সাফাইয়ের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য মাসিক ৫০০ টাকা, গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন ইউনিফর্ম কেনার জন্য ৮০০০ টাকা ভাতা”। সাফাই কর্মীদের সাফ কথা, দাবি না মানা হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
সূত্র – দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ওলা, উবেরে গিগ কর্মীদের অবস্থা বেহাল, জানাল রিপোর্ট

ক্যাব অ্যাগ্রিগেটর ওলা এবং উবের, মুদিসামগ্রী সরবরাহ অ্যাপ ডানজো, ফার্মেসি প্ল্যাটফর্ম ফার্মইজি এবং অ্যামাজন ফ্লেক্স – এই পাঁচটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভারতে গিগ কর্মীদের জন্য ন্যায্য কাজের পরিবেশ প্রদানে ব্যর্থ। সম্প্রতি ফেয়ারওয়ার্ক ইন্ডিয়া টিমের একটি প্রতিবেদন থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, ফেয়ারওয়ার্ক আন্তর্জাতিকভাবে ডিজিটাল শ্রম প্ল্যাটফর্মের যাবতীয় কাজের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে।
ফেয়ারওয়ার্ক ইন্ডিয়া রেটিং ২০২২ রিপোর্টে যে পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে এসব প্ল্যাটফর্মের মূল্যায়ন করেছে, সেগুলি হল ন্যায্য বেতন, ন্যায্য শর্ত, ন্যায্য চুক্তি, ন্যায্য ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে যে অ্যামাজন ফ্লেক্স, ডানজো, ওলা, ফার্মইজি এবং উবের একটি রেটিং-এ ১০ পয়েন্টের মধ্যে শূন্য পেয়েছে। প্রতিবেদন থেকেই স্পষ্ট ভারতে গিগ কর্মীদের কাজের পরিবেশ প্রদানে এই সংস্থাগুলি ব্যর্থ হয়েছে ।
সূত্র – এনডিটিভি
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বেকারত্বের সমস্যা বাড়াচ্ছে মোদি সরকারের বিপুল ঋণ

মোদি সরকারের বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা সাধারণ মানুষের রুজি-রোজগারের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের মোট দায় পৌঁছেছে ১৪৭.১৯ লক্ষ কোটি টাকায়। তার মধ্যে শুধু ঋণই ৮৯.১%। আর এর ফলে বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা।
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ইউনিয়ন সরকারকে আবার তোপ দেগেছে কংগ্রেস। ক্ষুধার সূচক ও মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ভারত যে অনেক পিছিয়ে, তা মনে করিয়ে কংগ্রেসের দাবি: বেকারত্ব চড়া, পড়ছে টাকার দর। অথচ তাতে মন না দিয়ে শুধু পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার ঢাক পেটাচ্ছে কেন্দ্র।
সূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কর্ণাটকে নোটিস ছাড়াই অটোমোটিভ সংস্থার ১৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই

বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলায় অবস্থিত ইয়াজাকি প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মীরা সোমবার অভিযোগ করেন যে সংস্থাটি ডিসেম্বরে অন্তত ১৫০ জন কর্মীকে মৌখিকভাবে বরখাস্ত করেছে। বরখাস্ত শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, তাঁদের ছাঁটাইয়ের আগে সংস্থাটি থেকে কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘটনাকে সামনে রেখে অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়ন (AICCTU)-এর নেতৃত্বে ডেপুটি লেবার কমিশনার (DLC)-এর কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরা সোমবার তাঁদের পুনর্বহালের জন্য একটি বিক্ষোভ শুরু করেছেন এবং তাঁদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
উল্লেখ্য, ইয়াজাকি প্রাইভেট লিমিটেডের লক্কেনাহল্লি প্ল্যান্টে ২০০০ কর্মচারী রয়েছেন। সংস্থাটি ১৩ ডিসেম্বর প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। যার পরের দিন আরও ১০০ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। যথারীতি ঐ সংস্থার কর্মীদের মধ্যে চাকরির অনিশ্চয়তার আতঙ্ক রয়েছে। ভারতে বেকার সমস্যার মধ্যে অটোমোবাইল সংস্থাটির এই ছাঁটাইয়ের খবরে যুবক-যুবতীরা হতাশ হবেন এ কথা বলাই বাহুল্য।
সূত্র – সাবরং
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বেকারত্ব ইস্যুতে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ তৃণমূলের

গোয়ায় বেকারত্বের হার উদ্বেগজনক। এই প্রশ্নেই এবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বেকারত্বের পরিসংখ্যানকে মান্যতা দিলেও একমাত্র গোয়া সরকার বেকারত্বের জন্য দায়ী কিনা, এ প্রশ্ন তুলেছেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেরাজ্যের তৃণমূল মিডিয়া কোওর্ডিনেটার ট্রাজানো ডিমেলো বলেন, “গোয়ায় বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ এবং তার মধ্যে ৭০ শতাংশ বেকার যুবক-যুবতী স্নাতক ডিগ্রিধারী। এর পরেও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করছেন যে এই বেকারত্বের জন্য একমাত্র সরকার দায়ী কিনা”।
ট্রাজানো ডিমেলো আরও অভিযোগ করেন যে গোয়া রাজ্যে কারিগরি শিক্ষা চালু করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে শিক্ষা খাতে বাজেট ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। এছাড়াও প্রযুক্তিগত স্বাক্ষরতা এবং কারিগরি শিক্ষা চালু করার আবেদন জানানো হয়।
সূত্র – দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন