চাকরিপ্রার্থীদের নবান্ন অভিযান, আটক বহু আন্দোলনকারী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এই আবহেই বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের নয়টি ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও পুলিশ তাঁদের নবান্নে ঢুকতে বাধা দেয়। ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশকে করজোড়ে অনুরোধ করতেও দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের। অবশেষে আন্দোলনকারীদের পুলিশ-ভ্যানে তুলে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার দুপুর একটা নাগাদ ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা হাওড়ার কাজীপাড়ায় জমায়েত করেন। যাঁদের মধ্যে এসএসসি, টেট, গ্রুপ-ডি সহ নটি সরকারি পদের মহিলা ও পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা ছিলেন। প্রত্যেকেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি ছিল, ৯টি মঞ্চের ৯ জন প্রতিনিধি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দেবেন। কিন্ত শুরু থেকেই পুলিশের অনুমতি মেলেনি। উলটে তাঁদের আটকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নবান্নে যেতে বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। করজোড়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেন অনুমতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ কোনওভাবে এগোতে দেয়নি। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। শেষে সবাইকে প্রিজন ভ্যানে তুলে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্র- আনন্দবাজার
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
উত্তরপ্রদেশে চাকরির অভাব, যুবসমাজ ঝুঁকছে গিগের দিকে

যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে চাকরির অভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেরাজ্যের বিজেপি সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। তাই যুবসমাজের বড় অংশ ঝুঁকছে গিগের দিকে।
সম্প্রতি প্রকাশিত টাস্কমো গিগ ইনডেক্স অনুসারে উত্তরপ্রদেশ গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে অন্য যে কোনো রাজ্যের তুলনায় ফ্রিল্যান্স কর্মীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ৭০ শতাংশের বেশি গিগ কর্মীদের বয়স ৩০ বছরের নিচে এবং ১৮-২৩ বছরের পড়ুয়াদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
শুধুমাত্র গত তিন মাসে ওই রাজ্যের ১০০০০-এরও বেশি কর্মী টাস্কমোতে সাইন আপ করেছেন। টাস্কমো হল নিয়োগকর্তা এবং ফ্রিল্যান্সারদের সংযোগকারী একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও, এই প্ল্যাটফর্মে উত্তরপ্রদেশে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে নিয়োগকারীদের কাছ থেকে চাহিদা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বেকারত্ব ও ঘৃণার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বুধবার দেশের ঘৃণা ও বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। কংগ্রেসের ১৩৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গোটা দেশে প্রতিদিন ঘৃণা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের কারণে মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন”।
তিনি আরও বলেন, ঘৃণা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যুবসমাজ, মহিলা, বঞ্চিত শ্রেণি এবং বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে হবে। ভারত জোড়ো যাত্রা সম্পর্কে বলতে গিয়ে খাড়গে জানান যে চলমান ভারত জোড়ো যাত্রা মানুষকে একত্রিত করার পদক্ষেপের সূচনা। তাঁর বক্তব্য, “এই যাত্রা সারা দেশে লক্ষ লক্ষ কংগ্রেস কর্মীকে একটি নতুন জীবন দিয়েছে। যাত্রাটি দেখিয়েছে যে কংগ্রেসের আদর্শ ব্যাপকভাবে এবং শক্তিশালীভাবে সমর্থিত”। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি-সহ দলের শীর্ষ নেতারা।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বেকারত্বের হার আরও বাড়ল ডিসেম্বরে

ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার বাড়ল ভারতে। নভেম্বরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। ডিসেম্বরে গত তিন সপ্তাহেই বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। ৪ ডিসেম্বরে শেষ হওয়া প্রথম সপ্তাহে ৮.৪ শতাংশ বেকারত্বের হার রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ডিসেম্বর মাসে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই, তবে এর কাছাকাছি যেতে পারে।
বেকারত্বের হার ভয়াবহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের যুবক-যুবতীরা আতঙ্কিত। এমনিতেই অতিমারীর ফলে কয়েক বছর ধরে ভারতের অর্থনীতির অবস্থা ভয়ানক খারাপ। দেশের অর্থনীতির এই বিপর্যয়ে মোদি সরকার নীরব। বেরোজগারির সমস্যা নিয়েও কেন্দ্র উদাসীন। বেকারত্বের হারের এই ওঠাপড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারতের যুবসমাজ।
সূত্র – রেডিফ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন