শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির চার্জশিট মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আরও বেকায়দায় পড়তে চলেছেন। উল্লেখ্য, প্রথম চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। ওই চার্জশিটে সুকৌশলে অভিযুক্তের তালিকায় নাম না রেখেও মানিকের নামের উল্লেখ ছিল। প্রথম সেই চার্জশিটের পরেই গ্রেফতার হন মানিক। এবার ইডির চার্জশিটে মানিকের সঙ্গে আরও একাধিক নাম থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইডি সুত্রে দাবি শুধু প্রাথমিকে নয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগসাজশে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগেও বড় ভূমিকা ছিল মানিকের। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ ইডির হাতে এসেছে।
সূত্র- টিভি নাইন বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ভুয়ো শিক্ষক হিসেবে দু’বছর চাকরি করার পর প্রকাশ্যে এল সত্যি, হতবাক পড়ুয়ারা

স্কুল শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, আর তার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহল্লা বিদ্যালয়ে ভুয়ো শিক্ষকের হদিশ মিলল। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে এখনও পথে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু যোগ্য এসএসসি চাকরিপ্রার্থী। এই আন্দোলন ২০১৯ সাল থেকে দানা বাঁধে। তখন চাকরিপ্রার্থী হয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিরিতপাড়া নিবাসী যুবক শেখ ইনসান আলি সেই আন্দোলনে যোগ দেন। ধীরে ধীরে তিনি ওই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। তারই মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎই ২০২০ সালে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ ইনসান আলি। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর ইনসান পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার চকদিঘি পঞ্চায়েত এলাকার বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহল্লা বিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তারপর থেকে একটানা ইনসান ওই বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করছিলেন।
শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে ২০২২ সালের প্রথমদিকে আন্দোলন জোরদার হওয়ায় ইনসান আলির চাকরি জীবনে অশনি সঙ্কেত দেখা যায়। তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পাওয়া ১৮৩ জন অবৈধ শিক্ষকের নামের তালিকা আদালতে জমা দেয়। সেই তালিকায় শেখ ইনসান আলির নামও রয়েছে। এরপরেই সমস্ত ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, “এমনটা হওয়ারই ছিল। আরও অনেকের এমন পরিণতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।“
সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ঘুষ দিয়েও মেলেনি শিক্ষকতার চাকরি, অবসাদে আত্মঘাতী যুবক

শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে এক যুবক কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার তিনি মারা যান। পরিবারের অভিযোগ শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য এক দালালকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিলেও আত্মঘাতী যুবকের চাকরি হয়নি। মৃত যুবকের নাম তপন দলুই।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবক ইংরিজিতে স্নাতকোত্তর। বিএড ডিগ্রিও ছিল তাঁর। এসএসসি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম ছিল। বর্তমানে গৃহশিক্ষকতা ও চাষের কাজ করে তিনি দিন গুজরান করতেন। শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য লোন করে তিনি ৫ লক্ষ টাকা এক দালালকে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তিনি চাকরি পাননি। এ কারণেই অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সূত্র- সংবাদ প্রতিদিন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
খরচ কমাতে আরও ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে অ্যামাজন

বিভিন্ন বিভাগ জুড়ে অ্যামাজন আগামী মাসে ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে। কোম্পানির ১ থেকে ৭ গ্রেডের সমস্ত র্যাঙ্কিংয়ের কর্মচারীরা ছাঁটাইয়ে প্রভাবিত হবে বলে কম্পিউটারওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এর দরুণ অ্যামাজনের ভারতীয় কর্মীদের চাকরির ক্ষেত্রে কোপ পড়তে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল ।
গত কয়েকদিনে, সংস্থাটি ম্যানেজারদের কর্মীদের কর্ম দক্ষতার সমস্যা চিহ্নিত করতে বলেছে বলে জানা গেছে। ছাঁটাই হতে চলা ২০ হাজার কর্মচারীর পরিমাণ বিশ্বব্যাপী আমাজনের মোট ১.৫ মিলিয়ন কর্মীর প্রায় ১.৩ শতাংশ হবে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে অস্থায়ী শ্রমিকও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৭ নভেম্বর, অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের কাছে একটি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, এটি নিশ্চিত যে ছাঁটাই হচ্ছে। তবে কতজন কর্মচারী ছাঁটাই করা হচ্ছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
সূত্র- বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ডিজিট্যাল বিভাজনের কারণে মহিলা, গ্রামীণ দরিদ্র ও বেকারেরা পিছিয়ে, এমনটাই দাবি অক্সফাম ইন্ডিয়ার রিপোর্টে

ভারতে বর্ণ, লিঙ্গ, ভৌগোলিক অবস্থান এবং শ্রেণীভিত্তিক বৈষম্য প্রচুর। অক্সফাম ইন্ডিয়ার নতুন একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ডিজিটাল স্পেসে ক্রমবর্ধমানভাবে এই বৈষম্য প্রকট হয়ে দেখা যাচ্ছে।
“ইন্ডিয়া ইনিইকুয়ালিটি রিপোর্ট ২০২২: ডিজিটাল ডিভাইড” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২১ সালে ৬১ শতাংশ পুরুষের মোবাইল ফোনের মালিকানা থাকলেও, তার ব্যবহার শুধুমাত্র ৩১ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে ভারতে ডিজিট্যাল প্রযুক্তির নাগাল মূলত পুরুষ, শহুরে, উচ্চবর্ণ এবং উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেখানে সাধারণ জাতিগুলির ৮ শতাংশের একটি কম্পিউটার বা একটি ল্যাপটপ ব্যবহারের সামর্থ্য রয়েছে, যা কিনা তফসিলি জাতির ১ শতাংশেরও কম এবং ২ শতাংশ তফশিলি জাতির মানুষের এই ল্যাপটপ ব্যাবহারের সামর্থ্য রয়েছে৷
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে লকডাউন চলাকালীন পাঁচটি রাজ্যে এনজিওর সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৮২ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের ডিজিটাল শিক্ষলাভে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন যার সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল এবং ইন্টারনেটের গতি বেসরকারি স্কুলগুলিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। ডিজিট্যাল বিভাজনের কারণে সরকারি স্কুলগুলিতে ৮০ শতাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন যে লকডাউন চলাকালীন তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্র- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন