কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত্যু হওয়ায় বিক্ষোভ

মঙ্গলবার রাতে বার্নপুর ইস্কো কারখানায় বেসরকারি সংস্থার এক ঠিকা শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় আচমকা অসুস্থ হয়ে মারা যান। মৃত শ্রমিকের নাম সুজয় শীল (৪০)। বাড়ি আসানসোলের দক্ষিণ থানার মহিশিলা কলোনির বটতলা বাজার এলাকায়। এরপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা।
তাঁদের দাবি, মৃতের পরিবারের একজনের চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে রেখে কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজয় রায়। শেষ পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানায় যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার ১ মাসের মধ্যে মৃত শ্রমিকের পরিবারের একজনকে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সূত্র- উত্তরবঙ্গ সংবাদ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ত্রিপুরায় শিক্ষা দফতরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ

ত্রিপুরার আগরতলায় বৃহস্পতিবার প্রচুর শিক্ষক পদের চাকরি প্রত্যাশী স্নাতক এবং ১০৩২৩ জন ছাঁটাই হওয়া শিক্ষক দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান শিক্ষা দফতরের সামনে। চাকরিপ্রার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাতে থাকেন। অন্যদিকে অপসারিত শিক্ষকরা তাঁদের পুনরায় শিক্ষক পদে বহালের দাবিতে অনড় থাকেন।
এক চাকরিপ্রার্থী অভিজিৎ ধর বলেন, “আমরা ত্রিপুরা শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের (টিআরবিটি) শিক্ষক নির্বাচন পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করেছি। এই বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। রাজ্য সরকার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে নরম হয়ে ৩০০০ জনেরও বেশি প্রার্থীদের জন্য চাকরির তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু, স্নাতক স্তরের শিক্ষক নির্বাচন পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি সুস্পষ্ট নীরবতা বজায় রেখেছে।”
সূত্র- ইস্ট মোজো
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চলতি বছরে ৫০টি বহুজাতিক সংস্থা ৯০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করল

২০১৯ সালে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ায় চাকরির ক্ষেত্র অত্যন্ত সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছিল। মহামারীর বছরগুলি বিশ্ব তথা ভারতের অর্থনীতির জন্য এক দুঃসময়। ২০২২ অর্থাৎ চলতি বছরে কোভিড-১৯ মহামারীর বিধিনিষেধ কেটে যাওয়ায় বেশিরভাগ অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ নতুন করে শুরু হবে বলে আশা করেছিলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান সঙ্কট প্রভৃতির কারণে মহামারীর ছায়া থেকে এখনও ভারতের অর্থনীতি বেরোতে পারেনি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চাকরিতে ছাঁটাই যা কিনা সবচেয়ে বড় সংকট বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল প্রায় তিন বছর আগে শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব এখনও কাটেনি। মহামারীর প্রভাব কাটলেও ২০২২ সালে অ্যামাজন এবং মেটা এই দুই বৃহত্তম প্রযুক্তি সংস্থা কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ৫০টি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ৯০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর প্রভাব ভারতের চাকরিপ্রার্থীদের ওপরও পড়বে এ কথা বলাই বাহুল্য।
সূত্র- পিপল ম্যাটারস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিক্ষোভের মাঝেই জটিল অস্ত্রোপচার করে শিশুকে সুস্থ করার নজির কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

একদিকে চলছে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ-অনশন। সেখানেই চার বছরের শিশুকে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকরা। এ খবর খাস কলকাতার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গত বুধবার কার্যত অজ্ঞান অবস্থায় ঐ চার বছরের শিশুকে আনা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যায় রামিশা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সব রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে রামিশাকে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়।
শিশুটির মা বলেন, “আমি এসএসকেএম হাসপাতালে প্রথমে তাকে নিয়ে যাই, তবে সেখান থেকে রেফার করে দেয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে”। সেখানেই শিশুটির অস্ত্রোপাচার সফলভাবে করেন নিউরো বিভাগের চিকিৎসক কাঞ্চন সরকার চক্রবর্তী। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা সচল রেখে রোগীদের সুস্থ করার যে নজির কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা রাখলেন তা এককথায় প্রেরণাদায়ক বলেই মেনে নিচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রায় ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে ইনটেল

কম্পিউটারের চিপ প্রস্তুতকারী সংস্থা ইনটেল পূর্ব ঘোষণা মতো ২০২৩-এর ৩১ জানুয়ারি কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। রিপোর্টে প্রকাশ, কম করে ২০১ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করতে চলেছে ইনটেল। এছাড়াও আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে ইনটেল বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কর্মীদের তিনমাসের অবৈতনিক ছুটির প্রস্তাব দিয়েছে। এর প্রভাব যে ভারতেও ব্যাপক আকারে পড়বে এ কথা বলাই বাহুল্য।
এমনিতেই মন্দার কারণে ভারতের চাকরির বাজার সংকুচিত হয়ে আছে। এর মধ্যে বহুজাতিক কম্পিউটার চিপ প্রস্তুতকারী সংস্থার এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া ভারতের ইন্টেল কর্মীদের পাশাপাশি লাখো লাখো বেকারকে হতাশ করবে। ২০২২ এর অক্টোবরে ইনটেল সিইও প্যাট গেলসিঞ্জার বলেছিলেন, “আমাদের সংস্থা খরচ কমাতে এই গণ-ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সময়ের চাহিদা অনুসারে আমাদের সংস্থা কর্মী সংকোচনের পথে ভবিষ্যতেও হাঁটবে”।
সূত্র- ইন্ডিয়া টুডে
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন