মুখ থুবড়ে মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

নিজস্ব সংবাদদাতা: মোদী সরকারের ঘটা করে ঘোষণা করা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া ‘ প্রকল্প ব্যর্থ। তা তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা শিল্পে ব্যাপক ছাঁটাইয়ে আক্রান্ত কর্মীরা একথা বলতে শুরু করেছেন।
তাঁরা বলছেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পগুলি ব্যর্থ। সরকারের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীরা ছাড়ের সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রের নতুন শ্রম কোড দেখিয়ে কর্মচারীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। মোদী সরকার যে পরিমাণ কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেছিল তার ৩০ শতাংশও পূরণ হয়নি। যেটুকু নতুন কর্মসংস্থান তাতেও চলছে তীব্র শোষণ।
১১ বছরের পরিচারিকাকে নির্যাতন

১১ বছরের পরিচারিকাকে নির্যাতনের দায়ে উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রাম থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার প্রয়াগরাজ থেকে ওই নাবালিকাকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সিটি ক্যানটনমেন্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসক ড: পান্ডে শনিবার জানান, ‘কিশোরীর দেহে পুরোনো ও নতুন ক্ষতচিহ্নের পাশাপাশি তার যৌনাঙ্গে কাঠের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও কিশোরীর হাতে ফ্রাকচারও পাওয়া গেছে।’ কিশোরীর থেকে বয়ান নেওয়ার পর অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশু শ্রমিক হিসেবে কী করে ওই নাবালিকাকে পরিচারিকার কাজ দেওয়া হল, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মশার ধূপের বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু ৬ পরিযায়ীর

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে এক শিশু সহ ছয়জনের। এঁরা একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। মশার ধূপের ধোঁয়া থেকে দমবন্ধ হয়ে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক এলাকায়। নিহতরা পরিযায়ী শ্রমিক, এঁদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে। জখম আরও তিনজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, পুলিশ শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ খবর পেয়ে যায় ঘটনাস্থলে। শাস্ত্রী পার্কের মাচ্চি মার্কেট এলাকার মাজার ওয়ালা রোডে পর পর ওই বাড়িগলিতে বহু মানুষের বসবাস। এঁদের আবার অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে দিল্লিতে কাজ করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরে জ্বলা মশা মারার ধূপ উলটে আগুন ধরে যায় মাদুরে। তাতেই ধোয়ায় ভরে যায় ঘর এবং তার থেকেই নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে তাঁরা প্রাণ হারান।
৬ এপ্রিল রাজ্যে কর্মবিরতি সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ৬ এপ্রিল রাজ্যের সর্বত্র কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি তহবিল থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। শুক্রবার তাঁদের দু’টি যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানানো হয়েছে। তবে সেদিন সরকারি জরুরি পরিষেবাগুলি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
গত বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ধরনা মঞ্চে যারা বসে আছে তারা সবাই চোর-ডাকাত!’ সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের দু’টি যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কলকাতার কর্মচারী ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরি, দেবব্রত রায়, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিজয় শঙ্কর সিনহা, ১২ জুলাই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুমিত ভট্টাচার্য, এবিপিটিএ’র পক্ষ থেকে মোহন দাস পণ্ডিত, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ভাস্কর ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি যুবদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: সারা পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮২০০ র বেশি সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া, এসএসসি, পিএসসি, প্রাথমিক সহ সমস্ত স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে চরম দুর্নীতি, স্বচ্ছ নিয়োগ, আসন্ন পঞ্চায়েত ও পৌর নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবিতে শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা কার্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল গিরিশ মোড় থেকে দুর্গাচক বাজার পরিক্রমা করে মঞ্জুশ্রী মোড়ের কাছে মহকুমা শাসকের কার্যালয় গেটে ‘পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায়।
ছাত্র-যুবদের তীব্র প্রতিবাদ ও মুখরিত স্লোগানে উত্তাল ছাত্র যুবদের প্রতিনিধি দলকে মহকুমা শাসকের কাছে যাওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ডিওআইএফআই জেলা সম্পাদক ইব্রাহিম আলি, সুকুমার মৈশাল, নজরুল ইসলাম, এআইওয়াইএস নেতা গৌরাঙ্গ কুইলা, এআইএসএফ নেতা বিক্রম বাহাদুর মণ্ডল, সাবির আলি শা। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন আক্তার হোসেন।