মোদির শাসনকালে কেন্দ্রের চাকরিতে নিয়োগ অর্ধেক

নিজস্ব সংবাদদাতা: নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে সরকারি নিয়োগ হ্রাস পেয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। দেখা যাচ্ছে, মোদির রাজত্বে প্রথম সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। সাংসদ আনবুমানি রামাদোসের প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী এ নারায়ণস্বামী।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ যেখানে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬২৯ জন ছিল, ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩ জনে। শুধু সাধারণ নয়, বিভিন্ন সংরক্ষণের আওতায় থাকা পদেও নিয়োগ হ্রাস পেয়েছে মোদি সরকারের আমলে। এছাড়াও, এই সময়ে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগও হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গেছে।
বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে বন্দর কর্মীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্দর শিল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে শুক্রবার কলকাতায় তীব্র প্রতিবাদ জানালেন বন্দর কর্মচারী ও শ্রমিকরা। মেজর পোর্ট অথরিটি অ্যাক্ট ২০২১-এর প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হলেন তাঁরা। এছাড়াও সমস্ত শূন্যপদ পূরণ, বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস-সহ অন্যান্য দাবিতেও এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বলে জানান তাঁরা।
বন্দর শিল্পে বেসরকারিকরণ হলে আগামী দিনে বহু শ্রমিক-কর্মচারী কাজ হারাবেন বলেও আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এদিন ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়নের ডাকে দিনভর অবস্থান সমাবেশ চলে কলকাতা বন্দরের সদর দফতরের সামনে।
বন্দর কর্মীরা বলেন বন্দর আদানিদের মতো শিল্পপতিদের হাতে চলে গেলে মাশুল ধার্যের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কর্মীরা জানান, তাঁদের দাবি মানা না হলে আগামী দিনে আরও বৃহৎ আন্দোলনের পথে তাঁরা হাঁটবেন।
গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না চলবে, জানালেন আন্দোলনকারীরা

গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে এখন বেসামাল রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট ওয়েটিং লিস্ট থেকে নাম নিয়ে নিয়োগের কথা বলেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আন্দোলনকারী একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আগের কমিশনের রিপোর্টেও কয়েকজনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। তখন মহামান্য আদালত বলেছিল যে কয়েক জনের চাকরি বাতিল হয়েছে সে যায়গায় দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কান পর্যন্ত এখনও সে নির্দেশ পৌঁছায়নি”। বোঝাই যাচ্ছে আন্দোলকারীরা কমিশনের এই ভূমিকায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
সূত্র – টিভি ৯ বাংলা
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের

শুক্রবার বিরোধী দলগুলি একজোটে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে ইউনিয়ন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের দাবি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় জন্য এই বাজেট জনগণের চাহিদা মেটাতে পারবে না। অত্যন্ত দুর্বল বাজেট।
ডিএমকে সদস্য এম মহম্মদ আবদুল্লাহ বলেন এই সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ব্যঙ্গ করে তিনি ‘আমাজন সরকার’ বলে উল্লেখ করেন। সরকার পাবলিক সেক্টরগুলোকে কর্পোরেটদের হাতে বিক্রি করে দিয়েছে। গত ষোলো মাসে বেকারত্বের হার দেশে জুড়েই ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরের তুলনায় বেকারত্বের হার দ্বিগুণ।
সংখ্যালঘুদের প্রকল্পগুলির জন্য ৩৮ শতাংশ বাজেট কমিয়ে আনা হয়। মাদ্রাসার জন্য বাজেটে কমিয়ে দশ কোটি টাকা করা হয়েছে। সব শিক্ষা ক্ষেত্রেই বাজেটের বরাদ্দ কম করা হয়েছে।
সূত্র – নাগাল্যান্ড পোস্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
১০ হাজারের ওপর ছোট-মাঝারি সংস্থা বন্ধ হয়েছে দেশে

নিজস্ব সংবাদদাতা: অর্থনৈতিক সংকটের জেরে গত এক বছরে দেশে অন্তত ১০৬৫৫টি ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি সংস্থা বন্ধ হয়েছে। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুক্রবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
সরকারি হিসেবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থাগুলির যা পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে, বেসরকারিভাবে তা যে অনেক বেশি, এ কথা স্বীকার করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ হারাচ্ছেন। ছোট ছোট সংস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অথচ সেদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কেন্দ্রীয় সরকার পুঁজিপতিদের রাস্তা পরিষ্কার করছে।