শূন্যপদে নিয়োগ, বকেয়া ডিএ চেয়ে অবস্থান

নিজস্ব সংবাদদাতা: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ ও অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে মঙ্গলবার বারাকপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়। ১২ই জুলাই কমিটি বারাকপুর মহকুমা কমিটি এদিন দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে এই অবস্থান-বিক্ষোভ করে।
কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ৩৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দেওয়ার দাবির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি দপ্তরে সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও স্বশাসিত সংস্থা সমূহের সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ এবং এই ক্ষেত্রগুলিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারী ও শিক্ষকদের স্থায়ী করার দাবি জানানো হয়। ব্যাঙ্ক বিমা সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের নয়া পেনশন প্রকল্প এবং নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবি জানানো হয় অবস্থান বিক্ষোভে।
এছাড়াও রেগা সহ সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের সুফল প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম সুনিশ্চিত করার দাবিতেও এদিন সোচ্চার হন শিক্ষক, সরকারি কর্মচারীরা।
পৌরসভার ঘোষণায় আতঙ্কিত গ্রামীণ টোটো চালকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকদিন ধরে কৃষ্ণনগর পৌরসভা লাগাতার প্রচার করেছে যে কৃষ্ণনগর লাগোয়া কোনো গ্রামীণ টোটো আর শহরে প্রবেশ করতে পারবে না আগামী পয়লা বৈশাখের পরের দিন থেকে। এই খবর শোনার পরেই টোটো চালকদের মধ্যে একটি আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। এই ঘোষণায় গ্রামীণ টোটো চালকদের রুটি রুজিতে টান পড়বে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কৃষ্ণনগর পৌরসভা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টোটো চালকেরা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। তাঁরা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে যান। তাতে কোনো সুরাহা না হওয়ায়, স্থানীয় সিআইটিইউ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন।
সোমবার কৃষ্ণনগর ভান্ডারখোলা পঞ্চায়েতে এবং মঙ্গলবার • কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। লিখিত স্মারকলিপি জমা দেন। কৃষ্ণনগর ১ নম্বর বিডিও পিন্টু ঘরামী ডেপুটেশন গ্রহণ করেন এবং টোটো চালকদের দাবির সাথে সহমত প্রকাশ করেন। অবস্থান বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন টোটো চালক ও ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। মূল দাবি ছিল ‘রুটিরুজির স্বার্থে কৃষ্ণনগর গ্রামীণ এলাকার টোটোগুলিকে কৃষ্ণনগর শহরের অভ্যন্তরে চলাচল করতে দিতে হবে।
এই দাবি উত্থাপন করেন কৃষ্ণনগর এক আঞ্চলিক ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সম্পাদক বিকাশ মল্লিক। সমর্থনে বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সম্পাদক সুমিত চাকি। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নদীয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক এস. এম সাদি, কৃষক নেতা কল্যাণ গুপ্ত, টোটো চালক বিধান বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার ঘটনা ঘটল আরামবাগে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে কন্ট্র্যাকচুয়াল কাজ দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরামবাগ পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ হাজরার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, অভিজিৎ হজরা আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাস্পাতালে সিকিওরিটি গার্ডের চাকরি করেন।
বিভিন্ন মানুষকে তিনি বলেন, আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সুইপার, সিকিওরিটি, গার্ডের চাকরির জন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে। প্রথমে ২০ হাজার দিতে হবে, কাজ হয়ে গেলে বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সেই মতো ২০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ জন তাকে টাকা দেন। কিন্তু সোমবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা যোগ দিতে পারেননি। এরপর তাঁরা অভিজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনের সুইচ অফ পান।
কর্মী ছাঁটাই-বকেয়া বেতন, বিএসএনএল অফিসের সামনে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে প্রতিবাদ নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বিএসএনএল অফিসে। বৃহস্পতিবার অফিসার সামনেই প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন কর্মীরা। অন্যায্য কারণে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে দাবি করেন কর্মীরা। এর মধ্যে অনেকের দীর্ঘদিন ধরে বেতন বাকি বলে অভিযোগ। বহিষ্কৃত কর্মীদের কাজে নিয়োগ না করা হলে আগামী দিনে আরও বড় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএনএলের একাধিক চুক্তিভিত্তিক কর্মীদেরকে ছাঁটাই করেছে। এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তেরশোরও বেশি। ছাঁটাই কর্মীদের মধ্যে নদিয়া জেলায় রয়েছে ৬০ জন। নিয়ম নীতি না মেনে এত পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করে দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান কর্মীরা।
সূত্র- এই সময়
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে পাওয়া যাবে এক বছরের বেতন! ঘুরিয়ে ছাঁটাই সংস্থার

সারা বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। ট্যুইটারের মালিকানা নেওয়ার পর ইলন মাস্ক শুরু করেছিলেন গণছাঁটাই। ইলনের পথেই হাঁটতে শুরু করেছে মেটা, গুগল, অ্যামাজন, ডিজনি হটস্টার। Layoffs.fyi-এর ওয়েবসাইট অনুসারে মোট ৫৭০টি কোম্পানি থেকে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১৮ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাই হলেও ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাই করতে সমস্যায় পড়ছে সংস্থাগুলি। তাই এক অভিনব পন্থা নিয়েছে কর্মী বরখাস্ত করতে।
জানা গিয়েছে, ইউরোপিয়ান দেশে গুগল, অ্যামাজন কর্মী ছাঁটাই করতে চাইলেও তা করতে পারছে না। কারণ সেখানকার ‘লেবর প্রোটেকশন ল’ অন্য জায়গার তুলনায় কঠোর। সেখানে বরখাস্ত করার আগে কর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় বসতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গণ ছাঁটাইয়ে দেরি হয়েই চলেছে। তাই কর্মী ছাঁটাইয়ের উপায় হিসেবে গুগল, অ্যামাজন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কর্মীদের এক বছরের স্যালারি বা বেতন দেওয়া হবে। যদি তাঁরা স্বেচ্ছায় তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দেন। মনে করা হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বহু প্রবাসী ভারতীয়।
সূত্র- ক্যালকাটা নিউজ
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন