বকেয়া বেতনের দাবিতে খড়দহে ফেরিঘাট কর্মীদের বিক্ষোভ

সাত মাস ধরে বেতন বন্ধ। এই অভিযোগে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মীদের। বন্ধ ফেরি পরিষেবা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ফেরিঘাট চত্বরে। ঘটনাস্থলে যায় খড়দহ থানার পুলিশ। বকেয়া বেতন না মেটানো হলে কর্মবিরতি চলবে বলে জানান ফেরিঘাট কর্মীরা। ফেরিঘাটে টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই, মাঝেমধ্যেই অনেক কর্মীকে বিনা নোটিশে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, এরকম একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন ফেরিঘাট কর্মীরা।
এই ফেরিঘাট খড়দহ পুরসভার অন্তর্গত হলেও ফেরিঘাটের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করে রিষড়া পুরসভা। কর্মীদের অভিযোগ, রিষড়া পুরসভাকে ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে জানানো সত্ত্বেও তাঁরা দীর্ঘদিন বেতন পাচ্ছেন না। তাই আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরিঘাট বন্ধ করে দিলেন ফেরিঘাটের কর্মীরা।
ফেরিঘাটের এক কর্মী সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সাত মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। অথচ তার কোনও কারণ নেই। আমরা বিষয়টা পরিবহনমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সে কারণে আমরা ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখেছি। যতদিন না সমস্যা মিটবে ততদিন ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।
সূত্র – এই সময়
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নৈহাটিতে হকারদের পুনর্বাসনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: নৈহাটিতে অরবিন্দ রোডের হকারদের উচ্ছেদ করতে চাইছে পুরসভা। এই মর্মেই একটি নির্দেশ জারি করেছে তারা। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হকার মুক্ত ফুটপাথ করতে চায় নৈহাটি পুরসভা। এর বিরুদ্ধে বুধবার প্রতিবাদ জানালেন স্ট্রিট হকাররা। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত পুনর্বাসন দিতে হবে।
বহু বছর ধরেই হকাররা অরবিন্দ রোডে ব্যবসা করে জীবন নির্বাহ করছেন। কিন্তু পুরসভার এই আকস্মিক নির্দেশে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়েই হকারদের জোরজবরদস্তি উচ্ছেদ করতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন।
নৈহাটিতে হকার্স মার্কেটের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। যে জায়গায় হকার্স মার্কেটের ঘর দেওয়া হচ্ছে, তা হকারদের মতে ব্যবসার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর প্রতিবাদেই সিটু নৈহাটি পৌরাঞ্চল সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে বুধবার নৈহাটি স্টেশনের সামনে এক প্রতিবাদ সভা হয়। এই সভায় বক্তব্য রাখেন সিটু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জী, পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকার্স ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির সম্পাদক অসিতাঙ্গ গাঙ্গুলি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন কলকাতায় মিছিল করার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মিছিলের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে সংগঠনগুলি। আজ বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে কলকাতায় মিছিল করার অনুমতি দিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানিয়েছিলেন, শহরের তিন দিক থেকে মিছিল গিয়ে জমায়েত হবে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। হাওড়া, কলেজ স্ট্রিট এবং শিয়ালদহ থেকে তিনটি মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সংগঠনগুলি। বুধবার শুনানির পর সেই আবেদনে সাড়া দিল হাইকোর্ট।
সূত্র- বাংলার জনরব
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পাঞ্জাবে সরকারি আধিকারিকদের দাবি মানতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার

অবশেষে পিসিএস আধিকারক এবং রাজস্ব আধিকারিকদের দাবি মেনে নিল পাঞ্জাব সরকার। পিসিএস এবং রাজস্ব আধিকারিকদের দাবি ছিল দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও ব্যক্তির প্রতি কোনও অবিচার করা চলবে না। বুধবার সেরাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এ. বেণুপ্রসাদ এবং পিসিএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রজত ওবেরয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক ঘণ্টারও বেশি বৈঠকের পর এ. বেণুপ্রসাদ বলেন যে পিসিএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা দুর্নীতিবাজ অফিসারদের রক্ষা করবে না। পিসিএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রজত ওবেরয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দেন যে কোনও ব্যক্তির প্রতি কোনও অবিচার করা হবে না”।
সূত্র – দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কলকাতার রাজপথে গৃহসহায়িকাদের মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা দেশে অত্যন্ত খারাপ। তাঁদের বেতন কাঠামো সংশোধন, কাজে নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদির দাবি দীর্ঘদিনের। আর এই সব দাবি নিয়ে বুধবার কলকাতার রাজপথ উত্তাল হল গৃহসহায়িকাদের মিছিলে। শিয়ালদহ চত্বর পরিক্রমা করে এই মিছিল মহাত্মা গান্ধি রোড হয়ে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যায়।
মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে ঘণ্টা পিছু ৭৫ টাকা, উৎসব ভাতা, ওয়েলফেয়ার বোর্ড চালু করা এবং পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। এই মিছিলে সিটুর রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য গার্গী চ্যাটার্জি, পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ-সহ সিটুর অন্যান্য নেতৃবর্গ বক্তব্য রাখেন।
আসামে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ

আসামে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ চরমে। এই বিক্ষোভে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং মিড ডে মিল কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। সমাজ কল্যাণ কার্যালয়ের সামনে সোমবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘ দিনের বঞ্চনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। বেতন কাঠামোর সংশোধন ছাড়াও অবসরের পর কর্মীদের এককালীন টাকা প্রদানের দাবিতে এই বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, তাঁদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।
সূত্র- প্রাগ নিউজ