চাকরির দাবিতে গ্রামবাসীদের আন্দোলন জামুরিয়ায়, পাথরের আঘাতে জখম বহু

চাকরির দাবিতে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হল পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া শিল্প তালুকের শেখপুর এলাকার একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন ফ্যাক্টরি। চাকরির দাবিতে এই আন্দোলনকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আন্দোলনকারী ও নিরপত্তারক্ষী- উভয় পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ ওঠে, নিরাপত্তারক্ষা কর্মীরা আন্দোলনকারীদের দিকে পাথর ছোঁড়া শুরু করলে, উলটো দিক থেকেও পাথর ছোঁড়া হতে নিরাপত্তারক্ষা কর্মীদের দিকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় আখল্পুর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দার দাবি, চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জমি দিয়েছিলেন তাঁরা। প্রায় ৩০ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কর্তৃপক্ষ রাখেনি। জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে তারা গ্রামবাসীদের কাজের বদলে মাসিক টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইদানিং সেই টাকাও বন্ধ হয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে গত দশ দিন ধরে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
সূত্র- দ্য ওয়াল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে সাঙ্গরুরে বিক্ষোভ

সাঙ্গরুরের সালেমগড় গ্রামে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হল । পাশাপাশি আহতের সংখ্যা পাঁচ। এই দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের নাম গুরপ্রীত সিং। গত মঙ্গলবার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের পরিবার সংঘবদ্ধভাবে মুনাতে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হল।
তাঁদের দাবি, নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ্য টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করতে হবে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সকলের ঋণ মুকুব করতে হবে। সরকার তাঁদের দাবি মানতে ব্যর্থ হলে তাঁরা আরও তীব্রভাবে প্রতিবাদে নামবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র- ট্রিবিউন ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ওয়াই চ্যানেলে চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত করতে দিল না পুলিশ

সাম্প্রতিক অতীতে আমরা বারবার দেখেছি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে কেঁপে উঠেছে কলকাতার রাজপথ। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল সোমবার সকালে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে, ধর্মতলার কাছে ওয়াই চ্যানেলে। যদিও আগেরবারের মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় নি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে টেট প্রার্থীরা অতর্কিতে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ধর্মতলা চত্বরে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তুলে দেয় পুলিশ। এক চাকরি প্রার্থী অরুণিমা পাল অভিযোগ করেন, তাঁর হাতে কামড় বসিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আগে কামড়ে দিয়েছেন অরুণিমাই। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের দাবি তাঁদের এই নিয়োগের প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে, পরে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি। ২০১৫-তে পরীক্ষা হয় ও ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, ফল প্রকাশের পর প্যানেল প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও প্যানেল প্রকাশ না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, আট বছর ধরে তাঁদের কোনো নিয়োগ হয়নি।
সূত্র- টিভি নাইন বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চাকরিপ্রার্থীদের আদালতে না গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়ার পরামর্শ নির্মল মাজির

রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক সভায় নির্মল মাজির মন্তব্য, “আদালতে না গিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেলেই সমস্যা মিটে যেত।“ এই মন্তব্যের পর যথারীতি শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সংবাদমাধ্যমের সামনে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “নির্মল মাজি নামটির সঙ্গেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ কথাটি এক হয়ে গিয়েছে। নির্মল মাজি মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত, তৃণমূল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে নির্মল মাজির এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কোণঠাসা রাজ্য সরকার। প্রতিদিনই প্রায় শিক্ষক দুর্নীতি মামলা নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ পর্ষদের সভাপতি জেলে । এই সময় নির্মল মাজির এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপূর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্র- আজ তক বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা

লুধিয়ানায় ভার্কা মিল্ক প্ল্যান্টে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা তাঁদের চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভে সামিল হলেন।
অভিযোগ, তাঁদের চাকরি আজ পর্যন্ত নিয়মিত করা হয়নি। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি না শোনা হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলে সাফ জানিয়েছেন।
তাঁদের দাবি, সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়মিত করতে হবে। এছাড়া কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মীর অভিযোগ, তাঁদের বাৎসরিক ১৪টি ছুটির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানা হয়না। এমনকি নিয়মিত কর্মীরা সব বড় উৎসবে ছুটি পেলেও তাঁদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়।
সূত্র- ট্রিবিউন ইন্ডিয়া
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন