বিশ্বজুড়ে দেউলিয়া ব্যাঙ্ক, রপ্তানি কমছে ভারতের

নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকা ও ইউরোপে একের পর এক বড় বড় ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে ভারতে। কমছে ভারতে রপ্তানির হার। এদিকে আমদানির তুলনায় রপ্তানি বিপুল হারে কমে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষ (এপ্রিল, ২০২২ থেকে মার্চ, ২০২৩) রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার। বৃদ্ধি হার ছিল মাত্র ৭.৬ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি ছিল ৬৫ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার, যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৮.৮ শতাংশ, রপ্তানি বৃদ্ধির প্রায় আড়াই গুণ। এতে ভারতের বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ২৪ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বড় বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক শেয়ার ধসে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়াতেই ক্রমশ রপ্তানির বাজার হারাচ্ছে ভারত। এতে বিপুল হারে কমছে রপ্তানির হার। যেভাবে পর পর বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ডুবতে চলেছে, তাতে বাণিজ্যের বাজারে এই সঙ্কট আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাজের দাবিতে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কাজের দাবিতে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ পালন করল ডিওয়াইএফআই। এদিন সকালে যুবদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক রিতুরঞ্জন দাস বলেন, বিজেপি শাসনে আসামে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ২২ লক্ষাধিক। চাকরি পাওয়া যায় না বলে অগণিত বেকার এখন আর কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করেননি। এই সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক।
স্বাধীনতার পর রাজ্যে বেকারত্বের হার সর্বাধিক। রাজ্যের যুব সমাজের প্রতি মারাত্মক প্রতারণা করছে বিজেপি সরকার। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার সময় বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার করে পাঁচ বছরে ২৩ লক্ষ বেকারের চাকরি দেবে। কিন্তু ক্ষমতায় এসে কর্মসংস্থান দেওয়ার বদলে কয়েক হাজার শ্রমিকের কাজ কেড়ে নিয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে এক লক্ষ বেকারের চাকরি দেবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর প্রথম ভাষণে বলেছিলেন “বছরে গুণে গুণে এক লক্ষ বেকারের চাকরি দেবো”। কিন্তু শর্মা সরকারের প্রায় দুই বছর হতে চলল। এই হিসেবে দুই লক্ষ বেকারের চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু সরকারের হিসাবে বলা হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার চাকরিও দিতে পারেনি।
মহারাষ্ট্রে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট চলছেই

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজেদের দাবিতে বৃহস্পতিবারও অনড় রইলেন মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীরা। পুরানো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবিতে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।মঙ্গলবার থেকে লক্ষ-লক্ষ সরকারি কর্মী শামিল হয়েছেন ধর্মঘটে। এদিকে অবিলম্বে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারে নির্দেশ দেওয়ার আরজি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদনও জমা পড়েছে।
শুক্রবার এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। নানাভাবে চাপ দেওয়ার চেষ্টা হলেও সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের দাবি থেকে একচুলও নড়েননি। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের দাবি পূরণে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে উল্টে ন’টি বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করছে বিজেপি সরকার।
রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলির কর্মীদের সঙ্গে দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষার মধ্যেই এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা। ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকার পরিচালিত হাসপাতালগুলির প্যারামেডিক্যাল কর্মী এবং নিকাশি শ্রমিকরাও।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঋণ দিতে নতুন টোপ

নিজস্ব সংবাদদাতা: পঞ্চায়েত ভোটে কর্মসংস্থানই যে গ্রামের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে তা টের পেয়েছে নবান্ন। আর সেখানেই আতঙ্ক তাড়া করছে রাজ্য প্রশাসনকে। কারণ, মেধার ভিত্তি থেকে জব কার্ড- দুর্নীতি থেকে ছাড় মিলছে না রাজ্যের শাসকদলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই বেকারদের ভবিষ্যত নিয়ে এক দশক ধরে ছিনিমিনি খেলে এখন ‘ভবিষ্যত’ প্রকল্প এনে দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড় টানতে চাইছে নবান্ন।
বেকারদের ঋণ দিয়ে ব্যবসার প্রকল্প সম্পর্কে এদিন এই ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার কাজ দেবে না, ঋণ দিয়ে মহাজনী করবার চালাবে’।
ব্যাটারি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ, কারণ ভয়াবহ

আবারও ফের নিজেদের দাবি নিয়ে আন্দোলনের পথে শ্যামনগরের বেসরকারি এক ব্যাটারি কারখানার শ্রমিকরা। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, জুতো ও হেলথ ড্রিংক প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কারখানার শতাধিক কর্মী শ্রমিকরা। তার জেরেই এদিন কর্মবিরতি চলে।জানা গিয়েছে, শ্যামনগরের বেসরকারি ওই ব্যাটারি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক স্বার্থে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চার সদস্যরা। যেহেতু শ্রমিকদের ওই কারখানায় নানা কেমিক্যাল বস্তুর মধ্যে কাজ করতে হয়, ফলে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয় বহু ক্ষেত্রে।
এমনকি অ্যাসিডের কারণে পা ক্ষয়ে যায়, বহু ক্ষেত্রে তৈরি হয় হাড়ের সমস্যাও। তাই কারখানার শ্রমিকদের নিয়মিত হেলথ ড্রিংকস, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ও জুতোর দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বারংবার এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। এমনকি কারখানা বন্ধ করে দেবারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন আবারো ফের এই সকল দাবি নিয়ে কারখানার ভেতর বিক্ষোভ দেখায় ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন