শিক্ষকদের মিছিলেও আক্রমণ পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকার অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকেই পরিবর্তন করার হুঁশিয়ারি উঠল সোমবার শিক্ষকদের উত্তরকন্যা অভিযান থেকে। উত্তরকন্যা অভিযানকে সামনে রেখে এবিটিএ এবং এবিপিটিএ’র যৌথ উদ্যোগে সংগঠিত সুবিশাল মিছিলকে জলকামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করল পুলিশ। তবুও তাঁদের রোখা গেল না। পুলিশবাহিনীর অভিযানকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করলে শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লাথি মারা, চুলের মুঠি ধরারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ, জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর না করা, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সহ ১২ দফা দাবিতে সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেয় এবিটিএ, এবিপিটিএ। উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানে অংশ নেন অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এদিন উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শিলিগুড়ি শহরের তিনবাত্তি মোড়। আগে থেকেই এই কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও কেন এদিন শিক্ষক- শিক্ষিকাদের মিছিলের ওপরে প্রশাসনের জঘন্য আক্রমণ নামিয়ে আনা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চটকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করার ডাক

নিজস্ব সংবাদদাতা: চটকলের শ্রমিকরা ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন। তাঁদের সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার উদাসীন। এর বিরুদ্ধে সমস্ত শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনকে তীব্র করতে হবে। সোমবার বিসিএমইউ’র রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে এক সভায় একথা বলেন রাজ্য কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু। জগদ্দলে পূর্বতন পার্টির জোনাল কমিটির দ্বিতলের সভাগৃহে এই সভা হয়।অনাদি সাহু আরও বলেন, চটকল শ্রমিকরা প্রতিদিন মালিকের শোষণ বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। মালিক নিজের খুশিমতো মিলগুলো চালাতে চাইছে।
দাবি জানানো হয়েছে, মিলগুলোতে ৯০ শতাংশ স্থায়ী শ্রমিক ও ২০ শতাংশ স্পেশাল বদলির নিয়ম মানতে হবে। কাজ কর, পয়সা নাও, বাড়ি যাও এই নীতি নিয়ে মিল চালাতে চাইছে মালিক। তৃণমূল ও বিজেপি’র ইউনিয়ন মিল মালিকের দালালি করছে। চটকলগুলোতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি কার্যকর করছে না মিল মালিক। রাজ্য সরকারও উদ্যোগ নিচ্ছে না। মিলগুলোতে ছয়-সাত রকমের মজুরি শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে। শ্রমকোড চালু করার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে সমস্ত শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় জনসংখ্যার অনুপাত ঠিক নেই। স্রেফ এই অজুহাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ বিচারপতি এম আর শাহ এবং এহসানুদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সব নাগরিকেরই কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য। সবাই তা পাচ্ছে কি না, তা দেখা সরকারের কর্তব্য।
বেঞ্চ জানায়, ‘ধরে নিচ্ছি, বেশ কয়েকজন এখনও খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধা পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোকে দেখতে হবে, যাতে তাঁরা রেশন কার্ড পান। খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় জনসংখ্যার অনুপাত ঠিক নেই, এই কারণে কাউকে রেশন থেকে বঞ্চিত করা যায় না। যাদের প্রয়োজন, সরকারেরই তাদের কাছে যাওয়া উচিত।
তাঁরা নির্মাণকর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, পরিচারক- পরিচারিকা। ২৪টি রাজ্য এবং তাদের শ্রম দপ্তরের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রাথমিক তথ্যের আদানপ্রদান হয়েছে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০ কোটি সুবিধাভোগীর নাম নথিভুক্ত আছে ই-শ্রম পোর্টালে।
হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল চালকল, মৃত ৪ শ্রমিক

মঙ্গলের সকাল সকাল ভয়াবহ দুর্ঘটনা কারনালের চালকলে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা এই চালকল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে চার জনের। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন শ্রমিক। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ, দমকল ও অ্য়াম্বুলেন্স। হরিয়ানায় কারনালে অবস্থিত তিনতলা চালকল। সেখানে শিফট ভাগ করে কাজ করেন শ্রমিকরা।
সূত্রের খবর, রাতের শিফটে কাজ করে এই চালকলেই ঘুমিয়ে পড়েন শ্রমিকরা। ঘুম ভেঙে সকালে ওঠার আগেই ধসে পড়ল চালকল। আশ্রয়স্থল জীবন কাড়ল ৪ শ্রমিকের।
সূত্র- টিভি নাইন বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রেলপথ টানেলে ধস, মৃত্যু এক শ্রমিকের

ফের সেবক রংপো নির্মীয়মান টানেলের একটা অংশ ধসে পড়ল। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কর্মরত এক শ্রমিকের। এই নিয়ে একাধিকবার টানেল ধসে মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকে অস্থায়ীভাবে কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রেলের ও প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সিকিম সীমানায় মেল্লির কাছে ভালুখোলায় ১০ নম্বর টানেলের কাজ চলাকালীন উপর থেকে আচমকা পাথরের চাঙড় ভেঙে পড়ে।
চাঙড়ের নীচে বেশ কয়েকজন চাপা পড়েন। বাকিদের টেনে বের করা গেলেও একজনকে বের করতে করতেই সম্ভবত তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত শ্রমিকের নাম শঙ্কর বর্মন। তাঁর বাড়ি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা থানার পারডুবি এলাকায়। এছাড়াও জখম হয়েছেন দীপক সিং, শেখর টুডু। এর আগেও টানেলের একাংশ ধসে পড়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জেরে কাজে যুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সূত্র- আজতক বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন