হরিয়ানায় বেকারত্বের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ

বেকারত্বের সমস্যা দেশে ক্রমশ বাড়ছে। সারা দেশ জুড়েই বেকারত্ব নিয়ে আন্দোলন চলছে। বেকারত্বের বিষয়ে হরিয়ানার যুবকরা নতুনভাবে এক আন্দোলনের কথা ভেবেছেন। বিয়ের সাজে সেজে বেকার যুবকেরা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহার লাল খাট্টারের বাসভবনের সামনে দিয়ে ড্রাম বাজাতে বাজাতে যান।
এই ঘটনায় পথচারীরা আকৃষ্ট হন। রাজ্যের যুবকরা বেকার থাকার জন্য তারা বিয়ে করতে পারছেন না। এটাই এই অভিনব আন্দোলনের মধ্যে উঠে আসে। প্রতিবাদটি আম আদমি পার্টির নেতা নবীন জয়হিন্দের সমর্থনে করা হয়।
সূত্র – ডেকান হেরাল্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মন্থর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজৌরিতে বিক্ষোভ

সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে যুবকরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁদের অভিযোগ, জেকেএসএসবি’র মাধ্যমে যে নিয়োগ হয় তা অত্যন্ত মন্থর গতিতে চলছে। এক বিক্ষোভকারী যুবক বলেন, “আজ আপনারা দেখছেন প্রচুর ছাত্র-যুব এখানে জড়ো হয়েছেন। এর কারণ জেকেএসএসবি রাজ্যের যুবসমাজের সঙ্গে নাটক করছে। জেকেএসএসবি চাকরি দিতে চায় না। কোনো পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে নেওয়া হচ্ছে না। দুর্নীতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষায় নম্বর নিয়েও যথেচ্ছ দুর্নীতি হচ্ছে”। চাকরিক্ষেত্রে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধেই রাজৌরিতে যুবকরা একজোট হয়েছেন।
সূত্র – গ্রেটার কাশ্মীর
বিশদে জানতে ভিডিওটি দেখুন
বেকারত্ব নিয়ে উদাসীন কেন্দ্র: পিনারাই বিজয়ন

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বেকারত্ব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন। বিজয়ন বলেন যে দেশের নব্বই কোটি মানুষ বেকার। সরকার নিয়োগ করছে না। দশ লক্ষ পদ খালি পড়ে আছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কেরালার সিভিল সার্ভিস সেক্টরের সমালোচনা করেন।
বিজয়ন আরও বলেন যে দেশের মধ্যে এখনও কেরালায় দুর্নীতি অনেক কম। অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। এখনও কেরালা পারে নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করতে। সাধারণ জনগণের স্বার্থে সরকারের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। কেরালাতে কর্পোরেটদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দেশের অবস্থা ভয়াবহ। আগের কংগ্রেস ও বর্তমানে বিজেপি সরকারের কাছে গরিবদের কোনও স্থান নেই। সরকার শুধুমাত্র কর্পোরেটদের সুবিধা দেখছে। কেন্দ্র বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
সূত্র: মাথরুভুমি
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পূর্ব বর্ধমানে পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিন রাজ্য থেকে আগত শ্রমিকের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির শ্রীরামপুর এলাকায়। আহত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম দীনেশ পণ্ডিত, বাড়ি বিহারের সারিকা অঞ্চলে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত দীনেশ পণ্ডিত শ্রীরামপুরে এসেছিলেন কাঠের কাজ করতে। সোমবার গভীর রাতে তাঁর ঘরের দরজা খুলে চারজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী আক্রমণ করে। দুষ্কৃতীদের অভিষ্ট ব্যক্তি কোথায় আছে, তা বলতে না পারায় এই আক্রমণ বলে জানা গেছে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী সংকোচনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রে বিজেপির আমলে কাজের ক্ষেত্র ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। তার মধ্যে কাজের চরম আকালের দিনে স্টেশনারি দফতরে কর্মী সঙ্কোচনের পরিকল্পনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারও নীরব। ১৭ ডিসেম্বর স্টেশনারি দফতরে নির্ধারিত কর্মীর সংখ্যা ৬২২ থেকে ১৫০-এ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
মোদি সরকারের এই পদক্ষেপ রুখতে জোটবদ্ধ হয়েছে স্টেশনারি দফতরের শ্রমিক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক স্টেশনারি ও প্রেসের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে লেনিন সরণীতে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া প্রেস এবং তারপর স্টেশনারি দফতরের হেড অফিসে বিক্ষোভসভা হয়। এই বিক্ষোভসভায় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্মীসঙ্কোচনের বিরুদ্ধে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। কর্মীরা স্পষ্ট করে জানান যতদিন না দফতরের বর্তমান কর্মচারীদের স্থায়ী চাকরির সুবিধা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ করা হচ্ছে ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে।
শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হবে না ত্রিপুরায়, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চরম দম্ভের পরিচয় দিলেন সেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। মঙ্গলবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হবে না। ত্রিপুরায় বিজেপি শাসনের সময়কালে বেকারদের অবস্থা ভয়াবহ। সোমবার দিনভর আগরতলা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ১০৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। উল্লেখ্য, এই ১০৩২৩ জন শিক্ষক চুক্তির ভিত্তিতে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, চুক্তি আর নবীকরণ করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারেও এবার হাত পা ঝেড়ে ফেলল ত্রিপুরা সরকার।
মঙ্গলবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের মারও খান। কিন্তু তবুও তাঁরা দাবিতে অনড়। তাঁরা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দেন। স্বাভাবিকভাবেই এদিন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণা চাকরিপ্রার্থী এবং বেকারদের হতাশ করবে।