শ্রমিকদের রক্ষা করতে বিজ্ঞপ্তি জারি

নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি গ্রীষ্মে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি থাকবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে তারা। এই অবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মী ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক।
এ দিন রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং প্রশাসকদের পাঠানো চিঠির বিষয়ে শ্রমমন্ত্রকের সচিব আরতি আহুজা এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, কর্মী ও শ্রমিকদের উপরে তাপপ্রবাহের প্রভাব যাতে কম পড়ে তার প্রস্তুতি নিতে হবে। মন্ত্রকের পরামর্শ, প্রয়োজনে কাজের সময় বদলানো যেতে পারে। কাজের জায়গায় যথেষ্ট পানীয় জলের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। খনন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্রামের জায়গার ব্যবস্থা করতে। শ্রমিক যদি অসুস্থ বোধ করেন তা হলে কাজের গতি মন্থর করতে হতে পারে। বিশ্রাম নিতে দিতে হবে তাঁদের। খনিতে নিশ্চিত করতে হবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও।
ফের বড়সড় ছাঁটাই ঘোষণা করল মেটা

জস্ব সংবাদদাতা: মেটা কর্মীদের দুঃসময় থামছেই না। এবারে গোঁদের ওপরে বিষফোঁড়ার মতো আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার দুঃসংবাদ শোনাল মার্ক জুকারবার্গের মালিকানাধীন সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকেই ‘কাঁচি’ চলবে।ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও রিয়েলিটি ল্যাবে চাকরি যাবে অনেকেরই। জুকারবার্গ গত মার্চেই ঘোষণা করেছিলেন, ফের ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে চলেছেন। আগেই খরচ কমাতে গত নভেম্বরে মেটা প্রায় ১১ হাজার কর্মী ছেঁটে ফেলে। জুকারবার্গ বলেছেন, মেটার লক্ষ্য হল প্রযুক্তিবিদ, প্রকৌশলী, ব্যবসায়িক এবং প্রশাসনিক কর্মীদের অনুপাতে ভারসাম্য ফেরানো। ইতিমধ্যেই নিজেদের সব বিভাগকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মেটা।
উত্তর আমেরিকার সমস্ত কর্মীকে বুধবার বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে, যাতে চাকরি গেলেও আগে থেকে তাঁরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। তবে চাকরিচ্যুত কর্মীদের সেভারেন্স প্যাকেজ এবং জব প্লেসমেন্ট সার্ভিস দেবে মেটা। মনে করা হচ্ছে ভারতেও এর প্রভাব পড়বে।
ইদের আগে ভস্মীভূত ১৫০ দোকান

নিজস্ব সংবাদদাতা: দু’সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হলো ১৫০টি দোকান। গত ৬ এপ্রিল বিকালে রানিহাটিতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল ১৫০টি দোকান। মঙ্গলবার মাঝরাতে উলুবেড়িয়া থানার চেঙ্গাইল লাডলো বাজারে আবার ভয়াবহ আগুন লাগে। যাতে ভস্মীভূত হয়েছে আরও ১৫০টি দোকান। মঙ্গলবার রাতের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক কয়েক কোটি টাকা। ইদের আগে এই ঘটনায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
গোটা এলাকায় বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। বারবার কেন এই আগুন? আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর দেখা মিলেছে দমকল বাহিনীর, এত দেরি কেন? এর পিছনে কি কোনও অন্তর্ঘাত? প্রশ্ন তুলছেন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৩০ নাগাদ আচমকাই উলুবেড়িয়া থানার চেঙ্গাইল লাভলো বাজারে আগুন লাগে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের চেঙ্গাইল স্টেশন সংলগ্ন এই লাডলো বাজার।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে আটকানো হলো মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: বহু দিন ধরে নায্য চাকরির দাবি আন্দোলন করে চলেছেন মাদ্রাসার চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীরা বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির দাবি জানানোর জন্য হাজরা মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের সেখানেই আটকে দেয়। পুলিশ বলপ্রয়োগ করে চাকরিপ্রার্থীদের আটকে দিলে তাঁরা হাজরা মোড় অবরোধ করেন। সেই অবস্থাতেই তাঁরা সেখানে নমাজ পড়েন। নমাজ শেষ হওয়ার পর তাঁদের হটাতে পুলিশের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তি। এমনকি লাঠিও চালানো হয় বলেও প্রার্থীদের অভিযোগ।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১৮৩টি। এরপর সময়োপযোগী হওয়ার কথা ২০১৬ পর্যন্ত। সেই হিসাবে শূন্যপদ হওয়ার কথা প্রায় ৫ হাজার। কিন্তু ২০১৮ সালে তালিকা প্রকাশ না করায় কাদের নিয়োগ করেছে, কত নিয়োগ করেছে কিছুই জানানো হয়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। পরে জানা যায়, প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে সুপারিশ করেছে কমিশন। এরমধ্যে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ শূন্যপদে। সেখানেও প্রচুর দুর্নীতি।