৫ বছরে চাকরি ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৫০,০০০ জওয়ান

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৫ বছরে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর চাকরি ছেড়েছেন ৫০ হাজারের বেশি জওয়ান। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এমনই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জওয়ান চাকরি ছেড়েছেন ২০২২ সালে। ১১ হাজারের বেশি জওয়ান কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন গত বছর। রাজ্যসভায় পেশ হওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ৬৫৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানেরা, দ্বিতীয় স্থানে আছে বিএসএফ এবং তারপর রয়েছে সশস্ত্র সীমা বল।
আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে কম দেখা গেছে এনএসজি কমান্ডোদের মধ্যে। রিপোর্ট জানানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৫০,১৫৫ জন জওয়ান চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের চাকরি ছাড়ার সংখ্যা ১২৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩৭, সিআইএসএফ জওয়ানদের ক্ষেত্রে চাকরি ছাড়ার সংখ্যা ৯৬৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১,৭০৬। তবে সশস্ত্র সীমা বলে চাকরি ছাড়া জওয়ানদের সংখ্যা ৫৫৩ থেকে কমে হয়েছে ১২১।
ভুটান থেকে ফিরল শ্রমিকের দেহ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কাজ করতে প্রতিবেশী দেশ ভুটানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বাড়িতে ফিরতে হল কফিনবন্দি হয়ে। মৃত শ্রমিকের নাম সমীর মজুমদার (৪০)। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর মজুমদার তাঁর ভাগনি জামাই এক ঠিকাদারের সঙ্গে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভুটানের শিবচুতে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে সমীর নিখোঁজ ছিলেন। ২০ মার্চ কাজের জায়গায় তাঁর পচাগলা মৃতদেহ দেখতে পান অন্যান্য শ্রমিকরা। মঙ্গলবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ ধূপগুড়িতে নিয়ে আসা হয়।
সব ধরনের প্রতিবাদ, আন্দোলন নিষিদ্ধ! ফতোয়া মোদী সরকারের

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা কোনও প্রতিবাদ, মিছিল, ধর্মঘটে অংশ নিতে পারবেন না। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকার ফতোয়া জারি করেছে। আপাত উপলক্ষ, পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে দেবার দাবিতে ন্যাশনাল জয়েন্ট কাউন্সিলের ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি ছিল মঙ্গলবারই। রাজ্যে রাজ্যে, জেলা ভিত্তিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু শুধু এই কর্মসূচি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সোমবার জারি করা নির্দেশিকায় সব ধরনের প্রতিবাদই কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য নিষিদ্ধ করতে চাওয়া হয়েছে। কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের তরফে জারিকরা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তরের সচিবদের কাছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা কোনও ধরনের ধর্মঘট, গণক্যাজুয়াল লিভ, গো স্লো, অবস্থান ধরনা করতে পারবেন না। এমন কাজও করতে পারবেন না যা ধর্মঘটে মদত দেয়। সরকারি কর্মচারীদের কাজের আচরণবিধি ৭ নম্বর ধারা লঙ্ঘিত হয় এমন কোনও কাজই নিষিদ্ধ।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্মচারীদের ধর্মঘটে যাবার কোনও অধিকার বিধিবদ্ধ ধারায় নেই। সুপ্রিম কোর্টও বিভিন্ন রায়ে একমত হয়েছে ধর্মঘট করা সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘন করা। এই ধরনের কোনও আচরণ আইন মোতাবেক মোকাবিলা করা দরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ করলেই পরিণতি ভোগ করতে হবে। বেতন কাটা ছাড়াও যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় শিক্ষককে হেনস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব সংবাদদাতা: মহার্ঘভাতা সহ শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে শিক্ষক। হাজিরা খাতায় সই করতে বাধা, ক্লাস করতে না দেওয়া সহ নানাভাবে হেনস্তার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বরুণা সৎসঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক অষ্টম বেরা।
স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগে রাশ টানা হয়েছে ইতিমধ্যেই, ক্লাস নেওয়া তো দূরের কথা উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রেও চাপানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকি কয়েক দিন স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকের। অভিযোগ গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের অংশগ্রহণ করার জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়ে টানা ১০ দিন ধরে কার্যত এক ঘরে হতে হয়েছে।
তাঁর প্রতি এই দুর্ব্যবহারের বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের এডিআই- এর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনিও লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। মেলের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে সেখান থেকেও কোনও রকম সাড়া মেলেনি বলে জানান ওই শিক্ষক। যার জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
গুজরাতে পিটিয়ে মারা হলো দুই পরিযায়ীকে

নিজস্ব সংবাদদাতা: পরপর দু’দিন ভিন রাজ্য থেকে আসা দু’জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো গুজরাতের গ্রামে। রবিবার চোর সন্দেহে নেপালের এক বছর পয়ত্রিশের নাগরিককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে আমেদাবাদ জেলার জীবনপুরা গ্রামে। এই একই অপবাদ দিয়ে রবিবার রাতে ছত্তিশগড় থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় খেড়া জেলার এক গ্রামে।
জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার ডি আর বাজপাই জানিয়েছেন, রবিবার ও সোমবারের মধ্যবর্তী রাতে বানসল গ্রামে একদল রামকেশ্বর খেড়ওয়াড় নামে একজনকে চোর সন্দেহে বেঁধে মারধর করে। রামকেশ্বরের মাথায় বড় ধরনের চোট লেগেছিল। তাঁর ডানহাতটি ভেঙে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আমেদাবাদের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ‘গ্রামবাসীরা লোকটিকে চোর সন্দেহে ধরে ব্যাপক পেটায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জেরা করা হয়েছে।’ পুলিশ জানিয়েছে মৃত রামকেশ্বরের বয়স মধ্য তিরিশ। ছত্তিশগড়ের বলরামপুর জেলার ওয়াদ্রাফনগরের রামকেশ্বর এখানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
রবিবারই আমেদাবাদের জীবনপুরায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে লোকজন দল বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে নেপাল থেকে আসা কুলমান গগনকে। বছর পঁয়ত্রিশের এই নেপালিকেও চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। কুলমান নেপালের সুরখেতের বাসিন্দা। পুলিশ এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে বলে খবর।