পৌরকর্মী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা: কামারহাটি পৌর অঞ্চলের সিপিআই(এম)’র চারটি এরিয়া কমিটি এবং একটি এরিয়া অর্গানাইজিং কমিটি যুক্তভাবে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে। পৌরকর্মী ও শিক্ষক নিয়োগ-সহ সর্বস্তরের চাকরি দুর্নীতির প্রতিবাদে পৌরসভার সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরে মিছিল শুরু হয়।
বি টি রোড ধরে দেশপ্রিয় নগর, বেলঘরিয়া সহ দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করার পর মিছিলটি উড়ালপুল অতিক্রম করে যতীন দাস নগরের বাদাম তলা মোড়ে এসে মিছিল শেষ হয়। মিছিলের পুরভাগে ছিলেন মানস মুখার্জি, সায়নদীপ মিত্র, ঝন্টু মজুমদার সহ পার্টির জেলা এবং এরিয়া কমিটির নেতারা। বাদামতলা মোড়ের সংক্ষিপ্ত সভায় মানস মুখার্জি বলেন, রাজ্যের সব নিয়োগের মতো পৌরসভার ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে চাকরির নামে বেকার যুবকদের সাথে প্রহসন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পৌরকর্মী নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধাপে ধাপে ২৯৮ জনকে কামারহাটি পৌরসভায় ঢোকানো হয়েছে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করেই। কোনও পদের ক্ষেত্রেই নিয়ম অনুযায়ী সরকারের অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
স্কুলের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাতিল হওয়া গ্রুপ-সি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে নবম, দশম শ্রেণির বাতিল পদে শিক্ষক নিয়োগ এখনই করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। গ্রুপ-সি পদে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পর এই পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই শূন্যপদে কাউন্সেলিং শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার থেকেই এসএসসি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। প্রথম দফায় ১০০ জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল এসএসসি।
চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এক সপ্তাহের জন্য এই নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার রেল হকাররা

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রের সরকার রেল বেচে দিতে চাইছে। রেল পরিষেবা মহার্ঘ হবে। সেখানে রেল হকারের কোনও জায়গা থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী, তার সরকার, দল, লড়াইয়ের নামে লুকোচুরি খেলছেন। দলের হকারদের বলে দিয়েছেন কেন্দ্রের আরপিএফের সঙ্গে টাকা দিয়ে সেটিং করে নাও । গলা অবধি দুর্নীতির পাঁকে ডুবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। শুক্রবার কথাগুলি বলেন পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নেপালদেব ভট্টাচার্য। হুগলী স্টেশনে রেল হকারদের জমায়েতে এদিন হুগলী, বর্ধমান জেলা ও নদীয়া জেলা হকাররা যোগ দেন।
উল্লেখ্য হুগলী জেলার সকল রেল স্টেশনে ইদানিং তৃণমূল পরিচালিত রেল হকার ট্রেড ইউনিয়ন উধাও। তার বদলে হঠাৎ আবির্ভাব ঘটেছে ‘জয়বাংলা” বলে একটি রেল হকার ইউনিয়নের। তারা আরপিএফের সঙ্গে টাকা দিয়ে অন্যায় বোঝাপড়া করে। সেই টাকার দশগুন তোলে রেলহকারদের থেকে জুলুম করে। টাকা না দিলে রেল হকারদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আপ নেতা

আম আদমি পার্টির কর্মী, বিক্ষ্যাত কমেডিয়ান খেয়ালি সাহরান ২৫ বছরের মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন ১৬ মার্চ। যুবতিকে চাকরি দেওয়ার নামে জয়পুরের মানসরোবর এলাকার একটি হোটেলেন নিয়ে গিয়ে সোমবার তাঁকে ধর্ষণ করে খেয়ালি, এমনটাই জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা।
পুলিশ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মহিলাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে তারপর নিজে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে। মানসরোবর থানার সাব ইন্সপেক্টর সন্দীপ যাদব জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আইপিসির ৩৭৬ ধারা লাগু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলাচ্ছে পুলিশ।
আম আদমি পার্টির রাজ্য মুখপাত্র যোগেন্দ্র গুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আপের লক্ষ্য জন কর্মী আছে তার মধ্যে অন্যতম একজন হলেন খেয়ালি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কি করেছেন তার সঙ্গে পার্টির কোনও সংযোগ নেই।”
সূত্র- ডেকান হেরাল্ড
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন