পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোভিডের পর ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন ভারতে

মার্চ, ২০২০-তে মোদি সরকারের অপরিণামদর্শী লকডাউন ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ্য করছে বিপাকে পড়তে। মহামারীর প্রথম ঢেউয়ে লকডাউন ঘোষণার পর ১০ মিলিয়ন পরিযায়ী শ্রমিক বাধ্য হয়েছিলেন প্রখর রৌদ্রে পায়ে হেঁটে দূরদূরান্তে বাড়ি ফিরতে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারাও যান। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দিকে ফিরেও তাকায়নি।
এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, “আমি মোদিজিকে ভেবেছিলাম জীবনের এই কঠিনতম সময়ে তিনি সাহায্য করবেন। কিন্তু আমি প্রতারিত হয়েছি।” সেই পরিযায়ী শ্রমিকের কথায়, “আমার কৈশোর থেকে আমি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুনে আসছি। কিন্ত এখন এসে বুঝেছি মোদিজির বলা কথাগুলির কোনো বাস্তবতা নেই। আমাদের মাথার ওপর ছাদ নেই, খাবার নেই। আমরা কেন ওই ভাষণ শুনব?” এমনিতেই সামান্য মজুরিতে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিনরাজ্যে কাজ করে থাকেন। কিন্তু লকডাউনের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর তাঁরা আর শহরে কাজে ফিরতে চাইছেন না।
সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার আশঙ্কাজনক, জানাল পিএলএফএস রিপোর্ট

পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। সেপ্টেম্বর ২০২২-এ শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক বুলেটিন অনুযায়ী শহরাঞ্চলে বেকারত্ব সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। মহামারীর ধাক্কা সহ কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা এর জন্য দায়ী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেশের শহরগুলিতে বেকারত্বের হার ছিল ৭.২ শতাংশ । যা কিনা এপ্রিল-জুন ২০২২-এর আগের ৭.৬ শতাংশ থেকে কম। এর আগে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে সর্বনিম্ন বেকারত্বের মাত্রা দেখা গিয়েছিল জুলাই-সেপ্টেম্বরে। যা ছিল ৮.৪ শতাংশ।
শুধুমাত্র বেকারত্বের হারের উন্নতিই চাকরির বাজারের অবস্থার জন্য যথেষ্ট পরিমাপ নয়। যখন দেশের অর্থনীতিতে চাকরি স্থবির থাকে তখন কম লোক চাকরি খোঁজার ফলে তখনও বেকারত্বের হারের উন্নতি হতে পারে। লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট (এলএফপিআর) অথবা কাজ করা বা কাজ খুঁজছেন এমন লোকেদের অংশ জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২-এ ছিল ৩৭.৬ শতাংশ যা কিনা ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ ছিল বলে জানা গেছে।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কৌশলী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোণঠাসা অবস্থা রাজ্য সরকারের। তাই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টির দায় বিরোধীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কৌশল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভার চলতি শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেউ না কেউ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এর ফলে নিয়োগ ঘিরে তৈরি হচ্ছে জটিলতা।
উল্লেখ্য, বেকারত্ব নিয়ে যথেষ্ট চাপে রাজ্য সরকার। রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা বারবার আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন গত কয়েকমাসে, এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আদালতের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। সাধারণ মানুষ যাতে বিচার পায়”। অধিবেশনে একাধিক সরকারি প্রকল্প প্রসঙ্গেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র- আজকাল
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ট্যুইটারে আপাতত স্থগিত কর্মী ছাঁটাই, ভারত থেকে নতুন ইঞ্জিনিয়ার টিম গড়ার পরিকল্পনা

অবশেষে ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই স্থগিত রাখল ইলন মাস্ক। সংস্থাটি কিনে নেওয়ার পর মাস্ক ক্রমাগত কর্মী ছাঁটাই করছিলেন। মোট কর্মশক্তির ৯০ শতাংশ ছাঁটাই করার পর ভারত থেকে কর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে ভারতের যুবক-যুবতীরা হতাশ হয়ে পড়েন।
মাস্ক এই কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে ট্যুইটারকে একটি লোকসানকারী সংস্থা হিসেবে দেখান। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর পদক্ষেপের ফলে সংস্থায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এখন মাস্ক সংস্থাটিকে ঢেলে সাজাতে চাওয়ায় কর্মী নিয়োগের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদিও মাস্ক তার অন্যান্য সংস্থায় একটি কঠিন টাস্কমাস্টার হওয়ার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, তবে তিনি কীভাবে অন্যান্য ভৌগলিক অঞ্চলে বিশেষত ভারতে কোম্পানির সম্প্রসারণ পরিচালনা করবেন সেটিই দেখার।
সূত্র- এআইএম
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরও খবর
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে আবারও জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের

অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে শিক্ষকপদ নিয়োগের মামলায় রাজ্য সরকার আবার ধাক্কা খেল হাইকোর্টে। শিক্ষা সচিবকে উপস্থিত হওয়ার আদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে ধাক্কা লাগার পরে রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের আদেশকে বহাল রেখেছে।
সূত্র- সমজ্ঞা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন