দিল্লিতে উদ্ধার ২০০ শিশু শ্রমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার জানিয়েছে গত তিন মাসে ২০০-এর বেশি শিশু শ্রমিক উদ্ধার হল রাজধানী শহরে। তল্লাশি এখনো চলছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আনাজ মান্ডি এলাকায় কারখানায় আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বেশকিছু শিশুও মারা যায় বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাইকোর্টের শিশু শ্রমিক ও শিশু পাচারের ঘটনায় পিটিশন দাখিল করলে তখন থেকেই তদন্ত শুরু হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি শচীন দত্ত জানিয়েছেন এ ব্যাপারে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ মে এই মামলার শুনানি হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ১৩৩ এলাকার কথা জানিয়েছিল যেখানে শিশুদের পাচার করে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হয়। আনাজ মান্ডি সদরবাজার নবী করিম ইত্যাদি এলাকা গুলিতে এখনো এমন অনেক ইউনিট আছে যেখানে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের ধারণা মূলত বিহার থেকেই শিশুদের পাচার করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
দুর্নীতির প্রতিবাদে সম্মেলনের সোচ্চার হলেন পৌর কর্মচারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৭ মার্চ তালপুকুর মাঙ্গলীকে ব্যারাকপুর পৌরসভা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অষ্টম সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন প্রতিনিধিরা। স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমস্ত কর্মচারীর ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সামিল হওয়া উচিৎ। অল বেঙ্গল মিউনিসিপাল ওয়ার্কমেন্স ফেডারেশনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সঞ্জীব দে বলেন, গত ১১ বছরে সরকারের সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়োগের ব্যাপারে দুর্নীতি হয়েছে। পৌরসভাও এর থেকে বাদ যায়নি। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও পৌর কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েও শাসকদের হাতে চরম হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পৌরসভা সহ সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার দাবিতে সি আই টি ইউ জেলার সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জি, গণআন্দোলনের নেতা অভ্র দে, তমাল চক্রবর্তী কল্লোল মুখার্জি, প্রভাত ভান্ডারী এবং প্রমুখরা এদিন বক্তব্য রাখেন।
কাজের তাগিদে শ্রমিকরা পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রায় ১৪০০ কর্মী কাজ হারিয়েছেন ইটভাটার থেকে। এই পঞ্চায়েতের প্রতি গ্রাম থেকে কম করে ৪০-৮০ পরিবার কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।বর্তমান সরকারের ১১ বছরের শাসনে গ্রামচন্দ্রপুর রাজপথ শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে, মিড ডে মিলের দশ কর্মী কর্মচ্যুত হয়েছেন, পাঠাগার বন্ধ হয়েছে, প্রয়োজনের অভাবে শিক্ষিকা স্থানান্তরিত করে মাত্র ৬ জন শিক্ষিকার দ্বারা ২৪০ জনের মতো ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য স্কুল চলছে।
এছাড়া মানুষের যাতায়াতের অসুবিধার কারণে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত বা যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।গ্রামের ৭ টি ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কর্মী ছাঁটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামবাসীরা মনে করেন, তৃণমূলের চূড়ান্ত দলবাজির কারণে এবং তাদের অপশাসনের ফলাফল হিসেবেই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি গ্রামবাসী প্রায়ই অভুক্ত থাকেন। দুঃখের কথা, সরকারের কোন দৃষ্টি পড়েনি এঁদের ওপর।
স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে সুদ গুনছেন অভিভাবকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সরকারের তরফ থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। শর্ত থাকে পড়াশোনার জন্য ঋণ প্রাপ্তির পর ৪ শতাংশ হারে সুদ দেবেন ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকরা, বাকি ৫ শতাংশ সুদের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ওপর। এমনকি পড়াশোনার শেষে চাকরি পাওয়ার পর ঋণের টাকা মেটানোর সময়সীমা ১৫ বছর। অথচ অভিযোগ উঠেছে ক্রেডিট কার্ডের ঋণের ৯ শতাংশই অভিভাবকদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে নেওয়া শুরু হয়েছে এবং ১৫ বছরের অপেক্ষা না করেই দিন নেওয়ার কিছু মাস পর থেকেই নয় শতাংশ হারে সুদ কাটা শুরু হয়েছে।
অভিভাবকদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ শোনার পর শিক্ষা দপ্তরের জেলা আধিকারিকরা লিখিত অভিযোগ জমা নিয়েছেন। নবান্ন -এর তরফে জানানো হয়েছে ঘটনাটি তদন্তনাধীন।