বকেয়া বেতন: হাইকোর্টে ইসিএল-শিক্ষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: বকেয়া বেতনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ইস্টার্ন কোলফিল্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন স্কুলগুলির ৪৪ জন শিক্ষক। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আদালত আবেদনটি প্রাথমিকপর্বে শুনানির জন্য গ্রহণ করায় বকেয়া বেতন বাবদ ইসিএলের চেয়ারম্যান তথা জেনারেল ম্যানেজারকে ৬ লাখ টাকা জমা রাখতে নির্দেশ দিল আদালত ।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। ১ বছরের ওপর বেতন বন্ধ বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ইসিএল না চালাতে পারলে রাজ্যের হাতে বিদ্যালয় দিয়ে দিন।
প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ধৃত ভুয়ো প্রার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ দিতে এসে ধরা পড়ল এক ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী। নাম বাপ্পা দেবনাথ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙার বাসিন্দা। ভুয়ো এই প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যদের পক্ষ থেকে এই ব্যক্তির নামে এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলার সময় এক ভুয়ো প্রার্থী ধরা পড়েছিল। এর পেছনে কোনও চক্র আছে কিনা দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। পর্ষদ সূত্রে খবর, ইন্টারভিউ চলাকালীন দ্বিতীয়ার্ধে ঘটনাটি ঘটে। এই প্রার্থীর শংসাপত্রের রং, প্রিন্ট ইত্যাদি দেখে যে আধিকারিকেরা তথ্য যাচাই করছিলেন তাঁদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে অন্যান্য তথ্য দেখানোর জন্য বলা হয়। তাতে দেখা যায়, শুধু শংসাপত্র নয়, ডিএলএড কোর্সের অ্যাডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, মার্কশিট— সবই জাল।
পর্ষদের উপ সচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “তথ্য যাচাই যাঁরা করছিলেন তাঁরাই প্রথমে বিষয়টি নজরে আনেন। সঙ্গে সঙ্গে পর্ষদের সংশ্লিষ্ট যে বিভাগ আছে, সেখানকার আধিকারিকদের ডেকে সব রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই নামে ২০১৬ সালে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে সেই নামে এবং নম্বরে কোনও রেজিস্ট্রেশনই নেই।
মৃত শ্রমিকের দেহ ফেলে গেল রাস্তায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রমিকের মৃতদেহ রাস্তার ধারে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল গুজরাটের একটি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম দেবদাস মান্ডি (১৭)। জাতীয় সড়কের পাশে পালসিট থেকে পলিথিন মোড়া অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করল মেমারি থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে মেমারি থানায় খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দেবদাসের বাড়ি হুগলির দিগসুই গ্রামে। গুজরাটের রাজকোটে থাকত। রাজকোটে ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির সিটিগোল্ড কারখানায় কাজ করত। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, গুজরাট থেকে তাদের ফোন করে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দেবদাস মান্ডি মারা গেছে। তার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের লোকেরা হুগলির মগরা থানার দ্বারস্থ হন। এরপরই পালসিট এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ থেকে পলিথিনে মোড়া দেবদাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে মেমারি থানার পুলিশ।
পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গুজরাটের রাজকোট এলাকায় ওই সিটিগোল্ড কারখানায় কাজ করলেও গত ৪ মাস ধরে দেবদাসকে কোনও বেতন দেওয়া হচ্ছিল না। তাকে বাড়িতে ফোনও করতে দেওয়া হত না। তাই তাকে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পরিবারের লোকেদের।
অভাব-অনটনে মরছে শ্রমিকরা, জুট মিল খোলার দাবিতে মিছিল

দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল। এবার বন্ধ জুট মিল খোলা এবং শ্রমিক মহল্লায় জল ও বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন চন্দননগরে। আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসার অভাবে এবং আত্মহত্যা করে এ যাবৎ কালে জুট মিলের প্রায় ৪০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সে কারণে শ্রমিকদের অবিলম্বে বকেয়া প্রদানের পাশাপাশি মিল খোলার ব্যাপারে আবেদন জানানো হয় এদিন মিছিল থেকে।
মঙ্গলবার মিল খোলার দাবিতে পথে নামে গোন্দোলপাড়া মিলের শ্রমিকরা। তাঁদের একটাই দাবি অবিলম্বে মিল চালু করতে হবে। মিল চালু না হলে পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এর পাশাপাশি তাঁদের দাবি, শ্রমিক মহল্লাতে ২৪ ঘন্টা আলো ও জল সরবরাহ করতে হবে।
সূত্র- এই সময়
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মেদিনীপুর মেডিক্যালে ১০০ অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাই

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক মাসের মধ্যে ফের মেদিনীপুর মেডিক্যা লে কর্মরত প্রায় ১০০ অস্থায়ী সাফাই কর্মীকে ছাঁটাই করা হলো। মে দিবসের দিনই রাতে ছাঁটাইয়ের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মাত্র দৈনিক একশো টাকার মজুরিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এই কর্মীদের কাজ করানো হতো। কেউ ৫ বছর, কেউ ১০- ১৫ বছর ধরে কাজের সঙ্গে যুক্ত।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের চাপে আমাদের কর্মচ্যুত করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জেনেছি, কাটমানির বিনিময়ে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে। আমরা ওসব মানব না। আমাদের কাজে পুনর্বহাল করতে হবে। এই দাবিতে আমরা আজ হাসপাতালের সুপারের দপ্তর এবং জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করছি। মেদিনীপুর শহর ও শহর লাগোয়া হরিজন পল্লির পরিবারগুলির মহিলা, পুরুষরা প্রতিদিনই হাসপাতাল চত্বর, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস সহ রাস্তা ঘাট, পয়ঃপ্রণালী সাফাইয়ের কাজ করেন।
গত ১ এপ্রিলও এইভাবে নোটিস ঝুলিয়ে ৭৫জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে সিআইটিইউ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের কাজে বহাল রাখার দাবি জানায়। অবশেষে জেলা শাসকের হস্তক্ষেপে সেই নোটিস প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে, জানা গেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন তাদের তালিকা মতো কর্মী ঢোকানোর জন্য ঠিকাদারকে চাপ দেয়। সেই মতো কাটমানি নিয়ে নতুন সাফাই কর্মী ঢোকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।