মহারাষ্ট্রে জেসিবি’তে বেঁধে শ্রমিককে মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে ট্রাক্টরে বেঁধে এক শ্রমিককে বেল্ট দিয়ে মারধর করা হলো মহারাষ্ট্রে। রাজ্যে চন্দ্রপুরা জেলায় ব্রহ্মপুরি তহশিলে বেলগাঁও গ্রামে শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে এদিন পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই দিন জেসিবি’র চালককে তারই গাড়িতে বেল্ট দিয়ে মারধর করে। এই মারধরের ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
জেসিবির চালকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদার থানায় লিখিতভাবে অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫২, ৩৪২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ‘সিল্ক হাব’ অথৈ জলে

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে। ঘোষণাই সার, আজ পর্যন্ত কোনও কাজই হয়নি শ্রীরামপুরে প্রস্তাবিত “সিল্ক হাব’-এর। খাতায়-কলমে সেই প্রকল্প থাকলেও বাস্তবে তা অথৈ জলে। জমি নেওয়া হলেও প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ পাননি, বলছেন ক্ষুব্ধ জমিদাতা কৃষকরা।
গত ২৮ মার্চ সিঙ্গুর থেকে ‘পথশ্রী’ ও ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই হুগলি জেলায় সরকারি কী কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ক্লাস্টারের মধ্যে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে সিল্ক হাব তৈরি করা হয়েছে বলে জানান। ২০১৭ সালে তারকেশ্বরে একটি প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রথম ঘোষণা করেন শ্রীরামপুরে একটি ‘সিল্ক হাব’ তৈরি করা হবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ঘোষিত ‘সিল্ক হাব’-এ আজ পর্যন্ত একটি ইটও গাঁথা হয়নি।
সিল্ক হাবের জন্য শ্রীরামপুর পৌরসভার প্রভাসনগরে জমি নেওয়া হয়। সেই জমিতে গিয়ে দেখা গেল, প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের জায়গায় সেখানে জলা এবং জঙ্গল হয়ে পড়ে রয়েছে। হাব তৈরির জায়গায় নির্মাণের কোনও কাজই আজ পর্যন্ত হয়নি। একটা সময় এই জমিতে চাষ হতো। সেই জমি কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই সময় সকল কৃষকই স্বেচ্ছায় সিল্ক হাবের জন্য জমি দিয়েছেন, বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তবে জমিদাতা স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, তাঁদের দাবি অনুযায়ী প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
ভিনরাজ্যে ২২ মাসে ৫৬ পরিযায়ীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি ৫ দিনে ১জন পরিযায়ী শ্রমিক কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যর মৃত্যু হয়েছে।
২০২১-র মে-তে মমতা ব্যানার্জি তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তার পরে, অর্থাৎ প্রায় দু’বছরে ভিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যের ৫৬ জনের। করোনা পরিস্থিতির পর রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রবণতা আগের থেকেও বেড়েছে। রাজ্যে কাজ নেই। ফলে ভিন রাজ্যই হয়ে উঠছে রাজ্যের যুবকদের কাজের ক্ষেত্র। কাশ্মীর থেকে কেরালা বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন রাজ্যের যুবকরা। সেখানে তাঁদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাও ঘটছে। তাছাড়া বেশিরভাগ রাজ্যেই কর্মক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও সুরক্ষার বন্দোবস্তই নেই। যেমন চলতি বছরের প্রথম দিনেই পেলিংয়ে স্কাইওয়াকের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৫ জন যুবকের।
ভিন রাজ্যে নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সবাই গরিব পরিবারের। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত আছে। আবার সপরিবারে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। যেমন ঘটেছে গত ৩১ মার্চ ভোরে। রমজানের সেহরি সেরে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক শ্রমিক পরিবার। ঘটনা উত্তর পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্কের। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে ৩ বছরের শিশু যেমন আছে, তেমনই ৪০ থেকে ২৬ বছরের যুবক পরিযায়ী শ্রমিকও আছেন। আছেন এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীও।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিআইডি

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঁকুড়া জেলায় সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিসন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে সিআইডি ডিজি’কে ২১ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ২০১২ সালে সরকারি দপ্তরে সাফাই কর্মী এবং নাইটগার্ড নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। দুই প্রার্থী আদালতে অভিযোগ করেছেন, এই নিয়োগ নিয়ে ইচ্ছাকৃত গরমিল করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েও চাকরির সুযোগ মেলেনি। এই অভিযোগের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভুল। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও ‘সাফাইকর্মী নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই নিয়োগকে কেন্দ্ৰ করে বাঁকুড়া জেলা মুখ্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ছিল। মামলার অগ্রগতি না হওয়ার কারণে ফের ডিভিসন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। ডিভিসন বেঞ্চ এই নিয়োগের বিষয়ে এদিন সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
হকারদের মেজাজ দেখে উচ্ছেদ স্থগিত রাখল রেল

নিজস্ব সংবাদদাতা: হকারদের আন্দোলনের মেজাজ দেখে উচ্ছেদের পরিকল্পনা থেকে সরতে বাধ্য হলো পূর্ব রেল। সোমবার সকালে চন্দননগর স্টেশন চত্বরে চন্দননগর স্টেশন এরিয়া হকার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামক একটি অরাজনৈতিক সংস্থার উদ্যোগে উচ্ছেদ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল। রেল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে পরে হকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্টেশন মাস্টার আলোচনায় বসেন।
রেল কর্তৃপক্ষ হকার প্রতিনিধিদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জানান, তিন মাসের জন্য উচ্ছেদের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। এই তিনমাসের হকার প্রতিনিধিদের ডিআরএম’র সাথে বসে পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। কারণ, পুনর্বাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন একমাত্র ডিআরএম।
তিন দিন ধরে রেল হকারেরা কাজ বন্ধ রেখে চন্দননগর স্টেশনের সামনে লাগাতার অবস্থানে বসেছিলেন। এদিন ডান-বাম সহ শাসকবিরেধী বিভিন্ন সংগঠন এই অবস্থানে অংশগ্রহণ করেন।