মিছিল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: বঞ্চিত গ্রুপ ডি প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করে অবিলম্বে নিয়োগের জোড়ালো দাবি জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। তিনদিনের লঙ মার্চ, বুধবার মাতঙ্গিনী হাজরায় শেষ করলেন ২০১৬ সালের সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর লড়াই আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তাঁদের। গত সোমবার শুরু হয়েছে এই লঙ মার্চ। মিছিলে ধারাবাহিক পুলিশি আক্রমণ সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে যান চাকরিপ্রার্থীরা। যতদিন না বঞ্চিত যোগ্য প্রার্থদের নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার, ততদিন আন্দোলন এইভাবেই চলবে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউবিজিডিআরবি-২০১৭ গ্রুপ- ডি ওয়েটিং প্রার্থীদের ঐক্যমঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এরপর ফাইনাল রেজাল্টে নামহীন, নম্বরহীন, জন্মতারিখ বিহীন একটি অস্বচ্ছ তালিকা বের করে প্রশাসন। বহুবার কালীঘাট, নবান্নের পি অ্যান্ড এ আর দপ্তর বিভিন্ন ডিএম অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অনেক ডেপুটেশন দেওয়া সত্ত্বেও কোনোরকম সুরাহা হয়নি আমাদের। উলটে অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে বাড়ছে শূন্যপদ

নিজস্ব সংবাদদাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের ভাতা কম হওয়ায় প্রকল্পে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ছে। পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে পেশ হয়েছে এই রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে শেষ ভাতা বাড়ে কর্মী ও সহায়িকাদের। কর্মীরা বারে বারে ভাতা বাড়ানের দাবি জানালেও দাবি মানেনি কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত বর্তমানে রাজ্যে রাজ্যে কর্মী সহায়িকাদের ভাতায় পার্থক্য রয়েছে। কেন্দ্রের ভাতার সঙ্গে রাজ্য সরকার ভাতা দিয়ে থাকে। এদিকে ভাতা ছাড়াও এই প্রকল্পে শিশু বিকাশ কেন্দ্র নির্মানে ও রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্ৰ। আগে কেন্দ্র পিছু বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ টাকা। তা বর্তমানে কমে হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। কমিটি কর্মী ও সহায়িকাদের ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়েছে।
নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে, পরিষেবা চেয়ে পানিহাটি পৌরসভায় বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: পৌর পরিষেবা দিতে ব্যর্থ পানিহাটি পৌরসভা। নাগরিকদের অভিযোগ, চলছে ঢালাও দুর্নীতি। ফি বৃদ্ধি হয়েছে সব কাজে। তার উপরে নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে পড়াতে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে নাগরিকদের।
বুধবার পানিহাটি বামফ্রন্টের আহ্বানে পৌর ভবনের সামন বিক্ষোভ সভা হয়। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন, মহিলা এবং যুবকরা বিপুল সংখ্যায় জমায়েত হন বিক্ষোভ সভায়। চাকরি দুর্নীতির প্রতিবাদের পাশাপাশি, পানীয় জল নিকাশি ব্যবস্থার ব্যর্থতা, অস্বাভাবিক ভাবে ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটানোর প্রতিবাদ করা হয়। বিক্ষোভ সভা থেকে দিল্লির শ্রমিক-কৃষক সংঘর্ষ সমাবেশের দাবিগুলি তুলে ধরা হয়।
মাদ্রাসায় অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে পড়ানোর উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুর্শিদাবাদে এবার মাদ্রাসায় কোপ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সরিয়ে অবসরপ্রাপ্তদের এনজিও’র মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য। কমানো হচ্ছে শিক্ষকদের সংখ্যা। কাজ চলে যাওয়ায় মাদ্রাসার বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখালেন চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে পড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হলেন পড়ুয়াদের অভিভাবক-অভিভাবিকারাও।
২০১০ সালের নভেম্বরে উদ্বোধন হয় এই মুর্শিদাবাদ মডেল মাদ্রাসার। পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় পাঁচ জন শিক্ষককেও। ২০১২ সালে ওই মাদ্রাসায় ফের ফলক বসান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে কমেছে শিক্ষক- শিক্ষিকার সংখ্যাও। বর্তমানে স্কুলে পড়ান মাত্র ৪ জন স্থায়ী শিক্ষক।
বর্তমানে একটি এনজিও’র মাধ্যমে নিযুক্ত আরও ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়াচ্ছেন ওই মাদ্রাসায়। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে ৮৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী। তবে প্রায় ৮ মাস বেতনই পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আন্দোলনের পথে মার্কেন্টাইল বিল্ডিংয়ের টেনান্টস অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিবাদী বাগে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মার্কেন্টাইল বিল্ডিংয়ের ‘এ’ ব্লকে আগুন লেগেছিল সেই ২০২১ সালের ১৬ জুলাই। তারপর বিল্ডিংয়ের বৈদ্যুতিক তার সারাই থেকে বিভিন্ন ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিজেদের খরচেই করেছেন ব্লক এ’তে অবস্থিত অফিস ও দোকানের মালিকরা। পুড়ে যাওয়া অংশ স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো হলেও সেখানের অফিস ও দোকান খোলার বিষয়ে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। বিল্ডিংয়ের মালিকও কোনও ভূমিকা নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় রুজিরুটির প্রশ্নে নিদারুণ সমস্যা-সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এই দু’বছর চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়া মানুষজন দ্রুত বিল্ডিংয়ে কাজকর্মকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।
বুধবার এনিয়ে প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করা হয় মার্কেন্টাইল বিল্ডিং টেনান্টস আ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। বৈঠক থেকে সরকারি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে এবিষয়ে ছাড়পত্র না মিললে আগামীতে বড়সড় আন্দোলনের পথে তাঁরা যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।