ডিএ নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্যকে বসতে নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞনম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিসন বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনার প্রয়োজন। এব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই আলোচনা বসার দিন স্থির করেছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ এপ্রিল রাখা হয়েছে।
বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার দাবি নিয়ে কর্মচারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলনে রয়েছেন। ধর্মতলায় কর্মচারীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থার মধ্যেই কর্মচারীরা একদিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দপ্তরে দপ্তরে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। এই কর্মবিরতিকে বেআইনি ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
পিএসসি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নেই। পরীক্ষা নিয়েও বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালিতে পিএসসি’র নেওয়া ফুড এসআই সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
পিএসসি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী আধিকারিক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা। আগে সরকারি দপ্তরগুলোর শূন্যপদ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ধারাবাহিকতা ছিল পিএসসির, সেটা এখন কার্যত উবে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগের পরীক্ষা নিলেও ফলপ্রকাশে অহেতুক বিলম্ব এবং প্রকাশের পর উত্তীর্ণদেরও বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ইন্দ্ৰজিৎ ঘোষ এদিন এই বিক্ষোভ নিয়ে বলেন, সরকারের সদিচ্ছা নেই। পিএসসি মামলা করে বেকারদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন।
বকেয়া ডিএ’র দাবিতে বিশাল মিছিল পৌরকর্মীদের যৌথ মঞ্চের

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর অপমানজনক বক্তব্যের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে রাজ্যের পৌরকর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদান সহ অন্যান্য দাবিতে বিরাট মিছিল করল পশ্চিমবঙ্গ পৌরকর্মী আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ স্টেশনে একত্রিত হন সারা রাজ্যের পৌরকর্মীরা। সেখান থেকে শহীদ মিনারে ডিএ’র প্রতিবাদে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের ধরনা মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এদিনই ৭০ দিনে পা দিয়েছেন শহীদ মিনারের ধরনা মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদান, অস্থায়ী ও ঠিকা শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ সহ অন্যান্য ন্যায্য দাবিতে লড়াই করছেন পশ্চিমবঙ্গের পৌরকর্মীরা। কিন্তু প্রশাসন কোনোভাবেই তাতে কর্ণপাত করছে না। কর্মচারীদের সমস্যা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া তো দূর, উল্টে তাঁদের মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ বলেই মানতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবাদীদের কখনো কুকুর- বেড়াল’ তো কখনো ‘চোর-ডাকাত’ বলে সম্বোধন করছেন তিনি।
দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ওপর এই ধরনের অপমানজনক মন্তব্যের মাধ্যমে করা পরিহাসের কারণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফুঁসছেন পৌরকর্মী সহ সকল সরকারি কর্মচারীরাই। সেই কথাই মানুষের সামনে তুলে ধরতে এদিনের মিছিলের আয়োজন করেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনার হুমকি মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে টানা পাঁচ বছর ধরে চাকরির দাবিতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। চাকরি চাইতে গিয়ে পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডবাহিনীর হাতে একাধিবার আক্রান্তও হতে হয়েছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তাঁদের। আর কোনও প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা ভুলছেন না।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই লাগাতার ধরনায় বসবেন ২০১৩ সালের মাদ্রাসায় সফল চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকী দরকার হলে ঈদের নমাজও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বসেই তাঁরা পড়বেন বলে বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিলেন। এদিন নিয়োগের দাবিতে হাজড়া মোরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মাদ্রাসার চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
মহিলা কর্মীকে যৌনহেনস্থার দায়ে গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষক

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত স্কুল যয়োহর নবদয় বিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তীক একজন দলিত মহিলা কর্মী, স্কুল কাইন্সেলরকে (৩৫) যৌনহেনস্থার দায়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করেন মানপুর থানায়।
অভিযোগে মহিলা জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর শরীরে আপত্তীজনক ভাবে হাত দেয় ও তাঁকে হুমকি দেয় ঘটনা প্রকাশ্যে আনলে তাঁর চুক্তি বাতিল করে দেবে বলে।’
মানপুর থানা আধিকারীক অমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে এবং সংবিধানের এসসি ও এসটি প্রিভেনসন অটোক্রেসি অ্যক্টের মামলা সহ আর ও অন্যন্য মামলা রুজু করা হয়েছে।’
সূত্র- দ্য প্রিন্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন