হরিয়ানায় স্থায়ী চাকরির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন

হরিয়ানার কার্নালে বুধবার অতিথি শিক্ষকরা এক বিশাল জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, শিক্ষক পদে তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। বুধবার অস্থায়ী শিক্ষকরা সিএম ক্যাম্প অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পুলিশ সেই মিছিলে বাধা দেয়। অতিথি শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি সঞ্জয় বাথলা সেখানে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সঞ্জয় বাথলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাঁর কাছে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষকরা ক্ষমতাসীন বিজেপি-কে অভিযুক্ত করে। প্রাথমিক অতিথি শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বাতান বলেন, “প্রায় ১৪০০০ শিক্ষকের মধ্যে ৫০০০ প্রাথমিক শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। গত ১৬ বছর ধরে তাঁরা এখনও নিয়মিত শিক্ষকের মর্যাদা পাননি। হরিয়ানার বিজেপি সরকার এ বিষয়ে নীরব রয়েছেন”। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাফ কথা, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাবেন।
সূত্র – দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ভারতে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন

ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন ভারতে ১০০০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ই-কমার্স সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, অ্যামাজন ইন্ডিয়ায় ১ লক্ষ কর্মী রয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তটি তাদের ১ শতাংশ কর্মীদের প্রভাবিত করবে বলে সূত্রের খবর।
এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের যুবসমাজে। দেশে বেকারত্বের হার রেকর্ড ছুঁয়েছে। এমনিতেই ভারতবর্ষে চাকরির বাজার ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। তার মধ্যে অ্যামাজনের এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত দেশের যুবসমাজকে আতঙ্কিত করেছে।
সূত্র – মিন্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বেকারত্বের প্রশ্নে রাহুল গান্ধির তীব্র আক্রমণ মোদি সরকারকে

রাহুল গান্ধি হরিয়ানার পানিপথে শুক্রবার মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, ধনী ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা এবং ‘বিভাজন নীতি’ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। একবিংশ শতাব্দীতে হরিয়ানা বেকারত্বের ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছে রেকর্ড করেছে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার ভারত জোড়ো যাত্রার শেষে একটি সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধি বেকারত্বের প্রশ্নে ইউনিয়ন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
তিনি মুদ্রাস্ফীতি, নোটবন্দি, জিএসটি এবং অন্যান্য ‘জনবিরোধী’ নীতি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। ঐ সমাবেশ থেকেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের নীতি নিয়ে নিশানা করেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, “পানিপথে তিনটি যুদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু এগুলো পানিপথের জন্য নয়, দিল্লি কে পাবে তা ঠিক করার জন্য। আজকের ভিড় নিজেই বলে দিচ্ছে যে দিল্লি কংগ্রেসের হতে যাচ্ছে”। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানা কংগ্রেসের শক্তি সিং গোহিল, সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রাক্তন সভাপতি কুমারী সেলজা, কিরণ চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং প্রমুখ।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নার্সদের বিক্ষোভ চলছে তামিলনাড়ুতে

তামিলনাড়ু মেডিক্যাল রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (এমআরবি) কোভিড নার্সেস ইউনিয়নের অনশন শনিবার সপ্তম দিনে পড়ল। আন্দোলনকারী নার্সদের দাবি, তাঁদের চাকরিতে স্থায়ী করতে হবে। উল্লেখ্য, এমআরবি কোভিড নার্সদের গত বছর পর্যন্ত চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। যদিও ৩০ ডিসেম্বর ২০২২-এ তামিলনাড়ু সরকারের জারি করা একটি আদেশের পর প্রায় ১৫০০ নার্সকে বরখাস্ত করা হয়। আন্দোলনরত নার্সরা অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্য বিভাগে তাঁদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবি জানান।
এমআরবি কোভিড নার্সদের আরও অভিযোগ, গত ৬ মাস তাঁদের বিনা বেতনে কাজ করতে হয়েছে। ৭ দিন ধরে অনশনে থাকা নার্সদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়। তবু এখনও তামিলনাড়ু সরকার তাঁদের দাবিগুলির বিষয়ে উদাসীন। তামিলনাড়ু স্বাস্থ্যকর্মী ফেডারেশনের সম্পাদক শান্তি বলেন, “তাঁরা স্থায়ী চাকরির দাবি করছেন। তামিলনাড়ু সরকারের উচিত তাঁদের দাবিগুলো বিবেচনা করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পূরণ করা”। নার্সদের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন বিক্ষোভ প্রত্যাহার করবেন না।
সূত্র- দ্য প্রিন্ট
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুলিশের লাঠিচার্জ পাটনায়

বিহার স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষার ঠিক আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। পরীক্ষাগুলি ২৩ এবং ২৪ ডিসেম্বর ২০২২-এ হওয়ার কথা ছিল৷ প্রশ্ন ফাঁসের ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বিহার স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করতে বলেছিলেন৷
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীরা বুধবার পাটনার রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। ডাকবাংলো ক্রসিংয়ে বিহার স্টাফ সিলেকশন কমিশন (BSSC)-এর চাকরিপ্রার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। প্রশাসনের এই ভূমিকায় বিএসএসসি পরীক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীরা জানান অবিলম্বে তাঁদের অভিযোগের সমাধান না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
সূত্র – মিরর নাও