শহরের তুলনায় গ্রামে বাড়ছে বেকারত্ব

বিজেপির জনবিরোধী নীতির ফলে আমজনতার প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বেকারত্ব। অক্টোবরের বেকারত্বের প্রবণতা জারি রইল চলতি মাসেও। সারা দেশে বেকারত্বের হার আবার মাথা তুলল। গ্রামাঞ্চলে এই হার সর্বাধিক। গ্রামে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৮.৬৮ শতাংশে। সেখানে দেশে এই হার ৮.৪২ শতাংশ। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ফাঁস হওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায় ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে দেশের বেকারত্বের হার ছিল চার বছরের মধ্যে সর্বাধিক। এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। কিন্তু মোদি সরকার সে সময় এই তথ্য মানতে না চাইলেও নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ঐ রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তারপর থেকে কাজের বাজার নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি সিএমআইই-র রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়, তবে এখন বেকারত্বের হার সেই সময়ের চেয়েও বেশি।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে পারে চলতি সপ্তাহে

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের দুজন হিসেবরক্ষককে ইডি তলব করল। তাদের আগামী ১০ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইডি। ছাত্রদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে ২১ কোটি টাকা আদায় করার হিসেব নেয় ইডি।
সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর দুজন হিসেবরক্ষককে তলব করা হয়। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে যে তালিকা পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ২৫০০ জনের নাম আছে বলে দাবি ইডির। কীভাবে তাঁরা চাকরি পেলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এখনও পর্যন্ত ইডি মানিক ও তাঁর আত্মীয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এই গোটা দুর্নীতিতে ১০০ কোটি টাকা পেয়েছে। তার মধ্যে ১০ কোটি টাকা মানিক ও মানিক ঘনিষ্ঠের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মধ্যে তাপস মণ্ডলের দুজন হিসেবরক্ষককে তলব যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্র- নিউজ ১৮ বাংলা
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
স্থগিত থাকা সর্বভারতীয় শ্রম সম্মেলন (ILC) অনুষ্ঠিত করার দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলির

শ্রমিকদের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান ও আলোচনার জন্য এবার ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রম ইউনিয়ন যৌথভাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদবকে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা সর্বভারতীয় শ্রম সম্মেলন (ILC) অনুষ্ঠিত করার দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় শ্রমিক সম্মেলন শেষবারের মতো ২০১৫ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ১ বার এই সম্মেলন বাধ্যতামূলক হলেও ইউনিয়ন সরকার এই সম্মেলনের বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। সরকারের এই মনোভাব দেখে শ্রমিক সংগঠনগুলো যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে ভূপেন্দর যাদবকে জানিয়েছে, “আমরা আপনাকে এই সম্মেলন দ্রুত সংগঠিত করার জন্য আহ্বান করছি এবং সর্বভারতীয় শ্রমিক সম্মেলনের এজেন্ডা নির্ধারণের জন্য সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং নিয়োগকর্তাদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্থায়ী শ্রম কমিটির সভাও অবিলম্বে ডাকতে অনুরোধ করছি।“
এছাড়াও ১০টি শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে চারটি শ্রম কোড বাতিলের দাবি করেছে।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
উৎসব ভাতার দাবিতে অসংগঠিত শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধ

পন্ডিচেরির আম্বোর সালাইতে বৃহস্পতিবার উৎসব ভাতার দাবিতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা পথ অবরোধ করলেন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস বা এআইটিউসি রাজ্য সম্পাদক সেতু সেলভাম নেতৃত্ব দেন। এআইটিউসির নেতৃত্বে শ্রমিকেরা ভাতার দাবিতে মিছিলও করেন। শ্রমিক পিছু সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাতার দাবি তোলা হয়। সূত্রের খবর, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের এই দাবিতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বিজেপি সরকার।
সূত্র- দ্য হিন্দু
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হিমাচল প্রদেশে পর্যটন শিল্পে কর্মসংস্থান কমছে, ক্ষুব্ধ যুবসমাজ

দেশে বিদেশে হিমাচল প্রদেশ মূলত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। আকর্ষণীয় বেড়ানোর জায়গা হলেও হিমাচলবাসীদের মধ্যে বেকারত্ব ক্রমে বেড়েই চলেছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেরাজ্যের সরকার পর্যটন শিল্পের প্রসারে সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না। সময়মতো রাস্তাঘাট মেরামত না করার অভিযোগ বহুদিনের। পর্যটন শিল্পে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হত আগে। কিন্তু বর্তমানে রোজগারের সুযোগ কমছে। যাতে ক্ষুব্ধ যুবসমাজ।
এছাড়া উচ্চশিক্ষার যথাযথ সুবিধা না থাকার কারণেও বেকারত্ব বাড়ছে। আর বাকি অংশের পড়ুয়ারা প্রায়শই বাইরের রাজ্যে পড়তে ও চাকরি নিয়ে চলে গিয়ে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছেন।
এদিকে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজ্যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে সমগ্র রাজ্যে ৩১২৫ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য ৪২০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও পর্যটন কেন্দ্রের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন। কারণ রাজ্যের অনেক জায়গাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ। সূত্রের খবর, বেকারত্বের ইস্যুতে বিপাকে পড়তে পারে হিমাচল প্রদেশের বিজেপি।
সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন