স্কুল শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, আর তার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহল্লা বিদ্যালয়ে ভুয়ো শিক্ষকের হদিশ মিলল। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া নিয়ে এখনও পথে বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু যোগ্য এসএসসি চাকরিপ্রার্থী। এই আন্দোলন ২০১৯ সাল থেকে দানা বাঁধে। তখন চাকরিপ্রার্থী হয়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিরিতপাড়া নিবাসী যুবক শেখ ইনসান আলি সেই আন্দোলনে যোগ দেন। ধীরে ধীরে তিনি ওই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। তারই মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎই ২০২০ সালে স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ ইনসান আলি। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর ইনসান পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার চকদিঘি পঞ্চায়েত এলাকার বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহল্লা বিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তারপর থেকে একটানা ইনসান ওই বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করছিলেন।
শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে ২০২২ সালের প্রথমদিকে আন্দোলন জোরদার হওয়ায় ইনসান আলির চাকরি জীবনে অশনি সঙ্কেত দেখা যায়। তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পাওয়া ১৮৩ জন অবৈধ শিক্ষকের নামের তালিকা আদালতে জমা দেয়। সেই তালিকায় শেখ ইনসান আলির নামও রয়েছে। এরপরেই সমস্ত ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, “এমনটা হওয়ারই ছিল। আরও অনেকের এমন পরিণতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।“
সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভুয়ো শিক্ষক হিসেবে দু’বছর চাকরি করার পর প্রকাশ্যে এল সত্যি, হতবাক পড়ুয়ারা

মতামত দিন