চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি ৫ দিনে ১জন পরিযায়ী শ্রমিক কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যর মৃত্যু হয়েছে।
২০২১-র মে-তে মমতা ব্যানার্জি তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। তার পরে, অর্থাৎ প্রায় দু’বছরে ভিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যের ৫৬ জনের। করোনা পরিস্থিতির পর রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রবণতা আগের থেকেও বেড়েছে। রাজ্যে কাজ নেই। ফলে ভিন রাজ্যই হয়ে উঠছে রাজ্যের যুবকদের কাজের ক্ষেত্র। কাশ্মীর থেকে কেরালা বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন রাজ্যের যুবকরা। সেখানে তাঁদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনাও ঘটছে। তাছাড়া বেশিরভাগ রাজ্যেই কর্মক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও সুরক্ষার বন্দোবস্তই নেই। যেমন চলতি বছরের প্রথম দিনেই পেলিংয়ে স্কাইওয়াকের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৫ জন যুবকের।
ভিন রাজ্যে নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সবাই গরিব পরিবারের। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত আছে। আবার সপরিবারে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে। যেমন ঘটেছে গত ৩১ মার্চ ভোরে। রমজানের সেহরি সেরে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক শ্রমিক পরিবার। ঘটনা উত্তর পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্কের। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে ৩ বছরের শিশু যেমন আছে, তেমনই ৪০ থেকে ২৬ বছরের যুবক পরিযায়ী শ্রমিকও আছেন। আছেন এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীও।
ভিনরাজ্যে ২২ মাসে ৫৬ পরিযায়ীর মৃত্যু

মতামত দিন