কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ‘জনবিরোধী’ নীতি আমজনতাকে বিপাকে ফেলেছে। দেশের অধিকাংশ যুবক-যুবতীর মধ্যে যখন কাজ পাওয়ার জন্য আকুলতা ও হাহাকার তখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও নিশ্চিন্তে নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে কর্পোরেট পুঁজির দালালি করা মোদি সরকার দেশের মানুষের জীবন-জীবিকাকে অনিশ্চয়তায় মধ্যে এনে ফেলেছে। কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং সংগঠিত-অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জীবনও বিপন্ন। কৃষক আত্মহত্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আত্মঘাতী ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও। এমন তথ্যই উঠে আসছে এনসিআরবি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে।
২০১৯ সালে ১৬০৯৮ জন ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছিলেন যা ২০২০ সালে বেড়ে হয় ১৭৩৩২ জন। ২০২১ সালে, সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার মোট সংখ্যা ২০২৩১-এ পৌঁছায় ৷ এ ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে ফেডারেশন অফ পাঞ্জাব স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (এফওপিএসআইএ) সভাপতি বদিশ জিন্দাল সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছেন যে ভারতের ব্যবসা এবং পেশাদার বিভাগ কোভিড মহামারীর পরে মন্দার কবলে পড়েছে, ব্যবসায়ী এবং পেশাদারদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতার সংখ্যা বাড়ছে। . দুর্ভাগ্যবশত, সরকার এই বিভাগ (বাণিজ্য ও শিল্প) নিয়ে এখনও উদাসীন।
সূত্র- দ্য ট্রিবিউন
বাড়ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার প্রবণতা

মতামত দিন