রাজস্থানে শিশুদের পাথর খাদানে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এর ফলে শিশুদের সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সিলিকোসিস একটি দূরারোগ্য ব্যাধি যা কিনা পাথর খাদান অথবা খনিতে যারা কাজ করেন তাঁদের হতে দেখা যায়। ২০১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩-এর মধ্যে রাজস্থানের যোধপুরে ১১৪৬২ জন শ্রমিক সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭৪৭৫ জন এই রোগের কারণে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এই সময়সীমার মধ্যে রাজস্থানে মোট ৪৮৪৪৮ জন সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হলেও ৩১৮৬৯ জন ক্ষতিপূরণের দাবিদার ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজস্থানে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক খনির লিজ রয়েছে। প্রধান খনিজগুলির জন্য ১৮৯ টি লিজ, ১৫২৪৫ টি গৌণ খনিজগুলির জন্য লিজ আছে এবং ১৭৬৮৮টি খাদান লাইসেন্স রয়েছে। সর্বমোট ৩৩১২২ গুলি খাদান লাইসেন্সে আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই অসংগঠিত এবং ছোট আকারের বেলেপাথরের খনি এবং খাদান। নাগরিক সমাজের অন্যতম প্রধান দাবি হল খনি এবং খাদানগুলিতে শুকনো ড্রিলিং বন্ধ করতে হবে। জল ব্যবহার না করলে শ্রমিকদের সিলিকোসিস রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একটি বিশেষ প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, রাজস্থান রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত ভেজা ড্রিলিং এই রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। যদিও সরকার এবং খাদান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এখনও উদাসীন।
সূত্র- ইন্ডিয়া স্পেন্ড
রাজস্থানে পাথর খাদানে শ্রমিকদের সিলিকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার হার সর্বোচ্চ

মতামত দিন