নিজস্ব সংবাদদাতা: তীব্র দাবদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে কার্যত বিনা চিকিৎসায় শুক্রবার মৃত্যু হলো এক আদিবাসী মহিলা খেতমজুরের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ভাতার রেল স্টেশনে তাঁর মৃত্যু হয়। ৪৫ বছরের মেনকা কোড়ার বাড়ি বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা কোড়াপাড়া এলাকায়।
এদিন ভাতারের কাঁচগড়িয়া গ্রামে ধান কাটতে গিয়েছিলেন আদিবাসী দম্পতি। মাঠে ধান কাটতে নামার আগেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে তাঁর স্বামী অসিত কোড়া ভাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর স্ত্রী মেনকার গুরুতর অবস্থার জন্য তখনই বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু অসিত কোড়ার কাছে টাকা ছিল না। তিনি আবেদন করেন, ভাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্ত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠাতে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় বিনা পয়সায় এখানে অ্যাম্বুলেন্স মিলবে না। অগত্যা অসিত কোড়া তাঁর স্ত্রী মেনকাকে টোটোয় চাপিয়ে ভাতার স্টেশনে নিয়ে আসেন। ট্রেন এলে তাতে চাপিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে পৌঁছাবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ভাতার স্টেশনে রেলব্রিজের উপর মৃত্যু হয় মেনকা কোড়ার। সেখানেই স্ত্রীর মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসিত।
বিনা চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তিনি সরকারকেই দায়ী করেন।প্রশাসনের হেলদোল চোখে পড়েনি। স্থানীয় মানুষজন চাঁদা তুলে দেহ বীরহাটার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।
অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে পথেই মৃত্যু দিনমজুর আদিবাসী মহিলার

মতামত দিন